বাবা জ্যাকি শ্রফের মতোই বলিপাড়ায় নাম করেছেন টাইগার। অ্যাকশন থেকে অভিনয়, ডান্স-- সবেতেই তিনি অনবদ্য। তবে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জ্যাকি শ্রফ জানালেন, ছেলে টাইগারকে বড় করায় তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। কারণ কাজের জন্য সবসময় তাঁকে বাইরে থাকতে হয়েছে পরিবারের থেকে দূরে। বরং, ছেলে মানুষ করার সমস্ত ক্রেডিট তিনি দিতে চান ‘তিন দেবী’কে।
ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো ব্যবহার, মানবিকতা, সময়ানুবর্তিতা ও কঠোর পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত টাইগার। তাঁর বেশিরভাগ কোস্টার থেকে পরিচালক জানিয়েছেন, ছবির সেটে টাইগার সবচেয়ে বাধ্য ছাত্রের মতো থাকে। খুব পরিশ্রম করে নিজের সেরাটা দিতে। পারফেক্ট শট যাতে হয়, সেদিকেও খেয়াল থাকে। মিষ্টভাষী. কিছুটা লাজুক ছেলের ‘ভালো ব্যবহারের’ কৃতিত্ব একেবারেই নিজের কাঁধে নিতে চান না জ্যাকি শ্রফ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আমার ছেলেকে ভালো করে মানুষ করার পিছনে আমার অবদান সবচেয়ে কম।’
জ্যাকি আরও জানান, ‘তিন মহিয়সী নারী আমার ছেলেকে মানুষ করেছেন, যখন আমি কাজের জন্য সবসময় আলাদা আলাদা থাকতাম। আর কাজের ফাঁকে সময় পেলেই ওকে আদর দিতাম। আমার ভাবতে ভালো লাগে আমার আদরে ও বিগড়ে যায়নি। ও নিজের কাজ আর ফিটনেস নিয়ে সবসময় অত্যন্ত মনযোগী। যখনই আমাদের দেখা হয়, কাজের কথা আমরা প্রায় বলি না। সাধারণ বাবা-ছেলের মতো কথা বলি সাধারণ ব্যাপার নিয়ে। আমাদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। আমি ওর কাজ দেখে গর্ব করি আর ভাবগানকে ধন্যবাদ জানাই এত ভালো অনুরাগীদের ও পেয়েছে তার জন্য।’
সম্প্রতি আরবাজ খানের টক শো ‘পিঞ্চ’-এ এসে টাইগার জানিয়েছেন, ‘কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমাকে সবসময় বাবার সঙ্গে তুলনা করা হত। বড় চুলের জন্য কেউ কেউ বলত, এটা ছেলে না মেয়ে! ওকে দেখে জ্যাকি দাদা-র ছেলে বলে মনেই হয় না।’
প্রসঙ্গত, টাইগারকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘নাইট অফ ২৬/১১’ সিনেমায়। তার আগে অভিনয় করেছিলেন ‘ওকে চার্লি’তে। বছরের শুরুর দিকে ডিজনি+হটস্টারের শো ‘ওকে কম্পিউটার’ও দেখা মিলেছে জ্যাকি-পুত্রের।