জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তছরুপের কেসের চার্জশিটে বলা হল, ‘এখন পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত অভিনেত্রী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’
এর পাশাপাশি চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে যে, তিনি নিজে এবং ভারতে ও বিদেশে বসবাসকারী তাঁরই পরিবারের সদস্যরা যে সব উপহার পেয়েছেন, তার সঙ্গে তছরুপের অপরাধের যোগ রয়েছে। এর ফলে তছরুপ প্রতিরোধ আইন ২০০২-এর ধারা ৩-এর অধীনে তছরুপের অভিযোগ দায়ের করা হল। যা PMLA, ২০২২-এর ধারা ৪-এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমনই বলা হয়েছে চার্জশিটে।
চার্জশিটে এ পরে বলা হয়েছে, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সচেতনভাবে সুকেশ চন্দ্রশেখর অতীতের অপরাধমূলক কাজের ঘটনাগুলিকে উপেক্ষা করে গিয়েছেন। এবং তাঁর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে লিপ্ত থেকেছেন। শুধু জ্যাকলিন নয়, এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরাও তাঁদের এই সম্পর্ক থেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন।
এর আগে গত সপ্তাহে ইডি এই মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছেন। অভিনেত্রীর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল দাবি করেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হয়েছে জ্যাকলিন’কে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘এই মামলার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন জ্যাকলিন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যতবার তাঁকে ডাকা হয়েছে, প্রতিবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তের স্বার্থে সবধরনের তথ্য তদন্তকারীদের জানিয়েছেন জ্যাকলিন। কিন্তু তিনি যে প্রতারিত, তা মানতে নারাজ আধিকারিকরা। জ্যাকলিন একটা বড়সড় অপরাধমূলক চক্রান্তের শিকার।’
গত ১৭ অগস্ট দিল্লি হাইকোর্টে দাখিল করা অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডি স্পষ্ট জানিয়েছে জেলবন্দি জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকলিন। সুকেশের তোলাবাজির প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে ৭ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
আপাতত আইনি জটিলতায় জর্জরিত জ্যাকলিন। ২১৫ কোটি টাকার তছরুপ মামলার চার্জশিটে জুড়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর নাম। প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে এই মামলার চার্জশিট জমা হয়েছিল আগেই। তাঁর সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্ক নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। অতীতে দু'জনের ঘনিষ্ঠ ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে। সন্দেহভাজনদের তালিকায় আগেই সামিল হয়েছিল জ্যাকলিনের নাম।