আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনই ছাড় নেই জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। ১৪ সেপ্টেম্বর ফের একবার দিল্লি পুলিশের Economic Offences Wing বা EOW অফিসে পৌঁছলেন অভিনেত্রী। সম্ভবত তাঁকে আজ পিঙ্কি ইরানির সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে। এই পিঙ্কিই আসলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল জ্যাকলিন আর সুকেশের।
খবর বলছে, জ্যাকলিনকে আজ কী কী প্রশ্ন করা হবে, তার তালিকা আগেই করে রাখা হয়েছে। কতবার তিনি সুকেশের সঙ্গে মোট দেখা করেছেন, ঠিক কী কী উপহার পেয়েছেন তার হিসেব আজ অভিনেত্রীকে দেখাতে হবে EOW-কে। এমনকী সম্পর্ক নিয়ে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতিরও মুখোমুখিও হয়তো হতে পারেন জ্যাকলিন।
এমনকী জ্যাকলিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক'দিন দিল্লিতে থাকতেও হতে পারে তাঁকে। কারণ পরপর জেরা করার হয়তো প্রয়োজন পড়বে। ২০০ কোটির আর্থিক দুর্নিতীর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে বলা হয়েছে, জ্যাকলিন জানতেন সুকেশ কী ধরনের কাজ করেন। তা সত্ত্বেও ইচ্ছে করে তা অগ্রাহ্য করেছিলেন। ‘শুধু ও না, ওর পরিবার-বন্ধুবান্ধবরাও এই সম্পর্ক থেকে আর্থিক সুবিধে পেয়েছে। আর এর থেকেই বোঝা যায় এতটা পরিমাণ অর্থের ফলে সামনের মানুষটার অপরাধমূলক ইতিহাসও এক্ষেত্রে সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলেনি।’
ইডি অভিযোগ করেছে, এখনও সত্যি লুকিয়ে রাখছেন জ্যকলিন। বারবার নিজের বক্তব্য বদল করছেন। এমনকী, প্রমাণের কারচুপি করার অভিযোগও উঠেছে জ্যাকলিনের নামে। ‘জ্যাকলিন নিজের ফোন থেকে সব ডেটা মুছে ফেলেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর গ্রেফতার হওয়ার পর। প্রমাণ নিয়ে নয়ছয় করেছেন নিজে, নিজের সহকর্মীদেরও তা করতে বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জ্যাকলিনের। তাঁরা দেখা করেছেন একাধিকবার। জ্যাকলিনের জন্য সেই সময় প্রাইভেট জেট পাঠাতেন সুকেশ। তাঁদের একাধির ঘনিষ্ঠ ছবি একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালে। একটা ছবিতে তো বিছানায় অন্তরঙ্গ সেলফি ছিল দুজনের, অভিনেত্রীর গলায় লাভ বাইটস। সুকেশের থেকে হিরের গয়না, দামি ব্যাগ-পোশাক-সহ একাধিক মূল্যবান উপহারও নিয়েছেন কিক-অভিনেত্রী।