ফের একবার কেন্দ্রীয় সংস্থার সমন এড়িয়ে গেলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ। ২০০ কোটি টাকার তোলাবাজির মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের, সেই সূত্রেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল জ্যাকলিনকে, যদিও এই মামলার অভিযুক্ত নন বলিউড সুন্দরী। ঠকবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী লীনা পালের বিরুদ্ধে দায়ের আর্থিক তছরুপের মামলায় সাক্ষী হিসাবে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। তিনি নিজেও প্রতারণার শিকার। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই জ্যাকলিনকে বারবার তলব করছে সংস্থা, তবে কাজের ব্যস্ততার অজুহাতে ফের একবার ইডির সমন এড়িয়ে গেলেন অভিনেত্রী।
সাক্ষী হিসাবে গত ৩০ অগস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা করা হয়েছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় ইডি আধিকারিকদের সামনে বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন জ্যাকলিন। এরপর গত ২৫শে সেপ্টেম্বর এবং ১৫, ১৬ অক্টোবর ইডির সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। এদিন ফের তাঁকে ইডির দিল্লির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল, আজও অনুপস্থিত থাকেন জ্যাকলিন। একই মামলায় ইডির তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী নোরা ফতেহি-কেও। গত বৃহস্পতিবারই নোরার বয়ান রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
তোলাবাজির মামলায় অভিযুক্ত জালিয়াত সুখেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। জালিয়াতি করে সুকেশ চন্দ্রশেখর টাকা বিদেশে পাচার করে তা সেখানে ইনভেস্ট করছে, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে ইডি। দিল্লি পুলিশের তরফে আগেই সুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ এক বছরে তাঁর ২০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং-এ দায়ের মামলার ভিত্তিতেই এই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি, তোলাবাজির মতো অভিযোগ রয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর ও তাঁর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে।