ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠতার কিসসা ফাঁস হতেই বিতর্কে এই বলি সুন্দরী। গত সপ্তাহেই জ্যাকলিন-সুকেশের একটি অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে। যা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় কতখানি ঘনিষ্ঠতা ছিল দুজনের সম্পর্কের। ছবিতে জ্যাকলিনের গলায় ধরা পড়ে লাভ বাইট। স্পষ্ট বোঝা যায় শারীরিকভাবেও কাছাকাছি এসেছিলেন তাঁরা। বিছানায় শুয়ে তোলা হয়েছে ছবিটি। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবি দেখে নীতি পুলিশদের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন জ্যাকলিন। এমনিতেই ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকবার জেরে ইডির নজরদারির মধ্যে রয়েছেন তিনি, নেই দেশ ছাড়বার অনুমতিও। তার মাঝেই নায়িকার একের পর এক ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস হয়ে চলেছে।
এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জ্যাকলিনের এক পুরোনো ভিডিয়ো, সেখানে ফটোগ্রাফারদের মাঝে পোজ দিতে দেখা গেল জ্যাকলিনকে। রেড হট লুকে মোহময়ী জ্যাকলিন, ডিপ নেকলাইনের লাল ড্রেস, খোলা চুলে লাস্যময়ী জ্যাকলিন পোজ দিচ্ছেন কোনও পাঁচতারা হোটেলের গার্ডেনে। আর তাঁকে ঘিরে চারিদিকে বডির্গাডদের দল।
জনপ্রিয় পাপারাতজি ভাইরাল ভায়ানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এই ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। জ্যাকলিনকে আক্রমণ করে অনেকেই বলেছেন, ‘ম্যাডাম আপনার বডিগার্ডদেরও সুকেশের চেয়ে ভালো দেখতে’। অনেকে তো সরাসরি আক্রমণ করেছেন ভাইরাল ভায়ানিকেও। ‘কত টাকা নিয়ে জ্যাকলিনের ইমেজ ঠিক করবার চেষ্টা চালাচ্ছেন দাদা?’ উঠেছে এমন প্রশ্নও।
ইডি সূত্রে খবর সুকেশ চন্দ্রশেখরের চেয়ে দামী দামী উপহার নিয়েছেন নায়িকা। জ্যাকলিনের পিছনে জলের মতো টাকা উড়িয়েছেন সুকেশ। ৫০ লাখের বিদেশি ঘোড়া, ৯ লাখি বিড়াল, তিনটি গুচির ব্যাগ, শ্যানেলের ব্যাগ, দুটি হিরের আংটি, নানা রকম দামি পাথর ও হিরে বসানো কানের দুল ২টি ও দু'টি পাথরে সুসজ্জিত হার্মস ব্রেসলেট জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছে সুকেশ। প্রাইভেট জেটে নায়িকার যাতায়াতের জন্য ৮ কোটির বেশি টাকা খরচ করেছে সুকেশ। ইডিকে অভিযুক্ত সুকেশ স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘জ্যাকলিনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল আমার’। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা, তবে একের পর এক ফাঁস হওয়া ছবি বলছে অন্য কথা।
আপতত লাইমলাইট থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন জ্যাকলিন। লাভ বাইটের ছবি ফাঁস হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা পোস্ট করেন নায়িকা। যেখানে অভিনেত্রীকে মিডিয়ার কাছে ছবিটি মুছে ফেলার অনুরোধ জানান। ওই পোস্টে লেখা আছে, ‘এই দেশ এবং এই দেশের লোকজনের কাছ থেকে আমি অনেক ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি। তার মধ্যে পড়ে মিডিয়ায় থাকা আমার বন্ধুরাও, এঁদের কাছ থেকেও আমি অনেক কিছু শিখেছি। বর্তমানে আমি জীবনের একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তাই আমি মিডিয়ায় থাকা আমার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করব এমন কোনও ছবি ছড়াবেন না যা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্ত, আমার গোপনীয়তায় আঘাত করে। আমি জানি আপনারা আপনাদের ভালোবাসার মানুষের সাথে এমন করতেন না, আমার সাথেও এমন করবেন না। আশা করি বিচার ও শুভবুদ্ধি এখনও আছে চারপাশে। ধন্যবাদ।’