‘আইলারে নয়া দামান, আসমানেরও তেরা, বিছানা বিছাইয়া দিলাম শাইল ধানের নেরা…ও দামান বও, দামান বও’, কাঁটা তারের গণ্ডি পেরিয়ে সিলেটের এই লোকগান এখন ভাইরাল এপারেও। ভাবছেন আচমকা এই গানের প্রসঙ্গ কেন?
আসলে জামাইষষ্ঠীর দিন কুমার পরিবারের ‘নয়া দমান’ (নতুন জামাই) গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে এদিন রীতি মেনে বরণ করে দিলেন শাশুড়ি মা দেবযানী কুমার। আর সেই গোটা প্রক্রিয়া চলাকালীন রীতিমতো 'লাজে রাঙা' হলেন গৌরব। পাঁচরকম ফল, মিষ্টির থালা সামনে রাখা। বরণ ডেলা সাজিয়ে গৌরবকে আর্শীবাদ করলেন শাশুড়ি মা। আর সেই মুঠোফোনে বন্দি করে সোশ্যালে পোস্ট করেছেন দেবলীনা, যার ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘নয়া দমান' গানটি। ভিডিয়োর ক্যাপশনে দেবলীনা লিখেছেন- ‘রীতি মেনে, আজকের দিনে জামাইষষ্ঠী। আর গানটার একদম উপযুক্ত ব্যবহার’।
এদিন বিধায়ক দেবাশিস কুমারের বাড়িতে ছিল এলাহি আলোজন। দেবলনী এদিন পরেছিলেন সোনালি পাড় লাল শাড়ি, অন্যদিকে নীল পেড়ে সাদা ধুতির উপর কালো পাঞ্জাবিতে পাওয়া গেল নতুন জামাইকে।
কী ছিল এদিন দুপুরের মেনুতে? দুপুরে একদম বাঙালি মেনু। ভাতের সঙ্গে ডাল, ৫ রকমের ভাজা, মোচার ঘণ্ট, শুক্ত। সঙ্গে ছিল ৭ রকমের মাছের পদ! না. গল্প নয় একদম সত্যি। ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা, তেল কই, কাতলার কালিয়া, পমফ্রেট ভাজা, ট্যাংরা মাছ, সব জামাই বাবাজীবনের জন্য রান্না করেছেন দেবযানী দেবী। শেষ পাতে চাটনি, মিষ্টি এবং দই।
ডিনারেও থাকছে জামাই-আদরের ভরপুর ব্যবস্থা। মেনুতে রয়েছে- লুচি, পোলাও, ফিশ ফ্রাই, মাটন কাটলেট, পাঁঠার মাংস। শেষ পাতে মিষ্টি মুখের জন্য থাকবে গৌরবের পছন্দের রাবড়ি আর মিষ্টি।