বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > কেরিয়ারের শুরুতে ‘অযোগ্য’ তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল, অ্যানসাইটিতে ভুগতেন জাহ্নবী!

কেরিয়ারের শুরুতে ‘অযোগ্য’ তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল, অ্যানসাইটিতে ভুগতেন জাহ্নবী!

জাহ্নবী কাপুর

নেপোটিজম বিতর্ক গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে জাহ্নবী কাপুরকে। স্টারকিড হওয়ায় বারবার তাঁকে মনে করানো হত তিনি ‘অযোগ্য’, এর জেরে মানসিক উদ্বেগে 

সুপারস্টার শ্রীদেবীর কন্যা! বলিউডে আত্মপ্রকাশের আগেই মায়ের নামের সঙ্গে সুবিচার করবার বাড়তি চাপ ছিল জাহ্নবীর উপর। তার উপর ডেবিউ ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই মায়ের অকাল মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছিলেন জাহ্নবী। ‘ধড়ক’ ছবির সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু করা জাহ্নবী, কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলো ভাবলে আজও শিউরে ওঠেন। তারকা সন্তান বলেই ধর্মা প্রোডাকশনের ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁর নিজের কোনও যোগ্যতা নেই- বারবার এই কথা শুনতে শুনতে রীতিমতো মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন জাহ্নবী। 

গত কয়েক বছর ধরেই বলিউডে নেপোটিজম বিতর্ক চরমে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এই বিতর্ককে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বজনপোষণ নিয়ে জাহ্নবীর কাছে প্রশ্ন রাখা হলে পুরোনো দিনের কথা মনে করে রীতিমতো আবেগতাড়িত শ্রীদেবী কন্যা। 

সদ্যই মুক্তি পেয়েছে জাহ্নবী অভিনীত ‘গুড লাক জেরি’। ছবিতে জাহ্নবীর অভিনয় বিশেষ নজর কেড়েছে। 'গুঞ্জন সাক্সেনা'র পর আরও এক নারীকেন্দ্রিক ছবির মুখ জাহ্নবী। স্টারকিড হয়েও ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বরাবরই আলাদা জাহ্নবী। 

অভিনেত্রী জানান, একথা নিশ্চিত বলিউড পরিবারের অংশ হওয়ায় তাঁর কাছে অভিনেত্রী হওয়ার সুযোগটা সহজে এসেছে। তবে এর জেরে তাঁকে অ্যানসাইটি অ্যাটাকের মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ধড়ক, গুঞ্জন সাক্সেনার সময় আমাকে বারবার মনে করানো হত আমার সামনে সব সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আমি এগুলোর যোগ্য নই, মানে এককথায় আমার কোনও পরিশ্রম নেই, কোনও মূল্য নেই। আমার কাছে কাজের সুযোগ আসছে কারণ আমি প্রযোজক বনি কাপুরের মেয়ে বা সুপারস্টার শ্রীদেবীর মেয়ে। আমি তাঁদের সন্তান এটা আমার কাছে গর্বের। আমি নিঃসন্দেহে তাঁদের জন্যই কাজের সুযোগ পেয়েছি। তবে সত্যিটা হল আমি অভিনয়টা ভালোবাসি আর অভিনয়ের জন্যই বাঁচি’। 

জাহ্নবী যোগ করেন, ‘আমি হাড়ভাঙা পরিশ্রম করি, কারণ বাবা-মা’র মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। তবে আমি নিজের কাজটা ভালোবাসি। আমি ধীরে ধীরে বুঝেছি আমাকে নিজের কাজটা এনজয় করতে হবে। আমি চেষ্টা করি সবসময় নিজের সেরাটা দিতে, যাতে আমার দিকে কেউ আঙুল তুলতে না পারে'। 

 

বন্ধ করুন