শুধু সিনেমা নয়, ব্যক্তিগত জীবনের কারণেও চর্চায় থাকেন জাহ্নবী কাপুর। ২০১৮ সলা ধড়ক দিয়ে পা রেখেছিলেন বলিউডে। বর্তমানে ৬টি ছবির মালকিন। তবে তাতে কি, তাঁকে নিয়ে চর্চা হামেশাই হয়। পাপারাৎজিদের নজরও টিকে থাকে এই বছর ২৫-এর মেয়েটির উপরেই। এবার যেমন ক্যামেরাবন্দি হলেন চর্চিত প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে।
গাড়িতে শিখরের পাশেই বসেছিলেন জাহ্নবী। বের হচ্ছিলেন দিদি রিয়া কাপুরের বাড়ি থেকে। পাপারাৎজিদের দেখে কিছুটা লজ্জাতেই পড়ে যান। ব্লাশ করতেও দেখা যায়। আজকাল প্রায়ই দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তার থেকে দুইয়ে দুইয়ে চার করতেও কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
বলে রাখা ভালো, মাসকয়েক আগে এই শিখর পাহাড়িয়াকেই কিন্তু জাহ্নবীর পুরনো প্রেমিক বলেছিলেন করণ জোহর। এমনকী তাঁদের ব্রেকআপের খবরও নিশ্চিত করেছিলেন। সারা আলি খান আর জাহ্নবী এসেছিলেন একসঙ্গে। আর করণ বলেছিলেন, ‘অতিমারির আগের কথা ভাবছি আমি। তোমাদের বন্ধুত্ব এখন কতটা গভীর জানি না। কিন্তু তোমরা দু'জন দুই ভাইয়ের সঙ্গে প্রেম করতে। আমি যে বহুতলে থাকি, তারাও সেখানে থাকত।’ তারপরই জানা যায় তাঁরা আর কেউ নন, বীর এবং শিখর পাহারিয়া। মুম্বইয়ের নাম করা ধনী এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই পাহারিয়া পরিবার। এদের দাদু (মায়ের বাবা) সুশীল কুমার শিন্ডে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবার নানারকম ব্যবসা আছে।
অনন্ত আমবানির বাগদানেও শিখরকে নিয়েই গিয়েছিলেন জাহ্নবী। দিওয়ালি পার্টিতে থেকে মলদ্বীপ, যেখানেই শ্রীদেবী কন্যা যাচ্ছেন সেখানেই সঙ্গে রাখছেন প্রেমকে। আর ছবি-ভিডিয়োও খুব করে ভাইরাল হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘পাঠান’-এর পোস্টার ছিঁড়ে বিক্ষোভ বজরঙ্গ দল-বিশ্ব হিন্দু পরিষদের, ভাইরাল ভিডিয়ো
জাহ্নবীর প্রেমের ইতিহাস বেশ লম্বা। প্রথম ছবির কোস্টার ইশান খট্টরের সঙ্গে প্রেম করেছিলেন বছরখানেক। মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে অক্ষত রঞ্জনের সঙ্গে প্রেম ছিল সিনেমায় আসার আগে। ছোটবেলা থেকেই চিনতেন একে-অপরকে। ডিয়ার জিন্দেগির প্রিমিয়ারে অক্ষতের সঙ্গে এসেছিলেন, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরও জাহ্নবীর পাশেপাশে ছিলেন অক্ষত। তবে বলিউডে পা রাখার পরই এই সম্পর্ক ফিকে হতে শুরু করে। মাঝে ওরহান আওয়াত্রামনির সঙ্গেও জাহ্নবীর ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। যার সঙ্গে আবার আজকাল খুব ঘোরাফেরা করছে কাজল-অজয় কন্যা নাইসা দেবগন। অভিনেত্রী যদিও স্পষ্ট করে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ওরহান তাঁর খুব ভালো বন্ধু, এর বাইরে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।