ক্ষমা চাইতে হবে অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের কাছে! বাড়ি ডেকে কঙ্গনা রানাওয়তকে নাকি এমনই হুমকি দিয়েছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতার। সম্প্রতি টুইটারে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন কঙ্গনার বোন তথা ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেল।
এখানেই থেমে থাকেননি রঙ্গোলি। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পরিচালক মহেশ ভাটের দিকেও। রঙ্গোলির কথায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিতে হবে এমন এক চরিত্র করতে অস্বীকার করায় কঙ্গনার মুখে চপ্পল ছুঁড়ে মেরেছিলেন মহেশ ভাট।
টুইট বার্তায় রঙ্গোলি লেখেন, জাভেদ আখতারজি কঙ্গনাকে বাড়ি ডাকেন এরপর তাঁকে হুমকি দিয়ে হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলে। মহেশ ভাট ওঁর মুখে চপ্পল ছোঁড়ে কারণ? একটা সুইসাইড বোম্বারের চরিত্র করতে ও অস্বীকার করে। তাঁরা নাকি প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাসিবাদী বলে আখ্যা দিচ্ছে!কাকা আপনারা কী তাহলে?
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে মোদি সরকারের নীতির সমালোচনা করে,প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দেন মহেশ ভাট ও জাভেদ আখতার। সেই ঘটনা নিয়ে এক ফ্যানের টুইটের জবাব দিতে গিয়েই একথা বললেন রঙ্গোলি।
গত বছর জাভেদ আখতার ও তাঁর পত্নী শাবানা আজমিকে একহাত নিয়েছিলেন কঙ্গনা। পুলওয়ামা ঘটনার পর শহীদের প্রতি সমবেদনা জানাতে পাক সফর বাতিল করেন এই দম্পতি। করাচি আর্ট কাউন্সিলের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁরা। উর্দু সাহিত্যে শাবানা আজমির বাবা কইফি আজমির অবদানের স্বীকৃতিতেই এই সাহিত্য উত্সব আয়োজিত হয়েছিল। কঙ্গনা জানিয়েছিলেন শাবানা আজমির মতো লোকেরাই সংস্কৃতির বিনিময় বন্ধ করার কথা বলেন, আবার টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের সমর্থনে পাশে দাঁড়ান। পাকিস্তানি শিল্পীরা যখন উরি ঘটনার পর ভারতে ব্যান হয়েছেন তখন করাচিতে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার দরকার কী? আর এখন মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে!
কঙ্গনা-হৃত্বিকের বিবাদ তো নতুন কোনও ঘটনা নয়। কঙ্গনা এর আগে দাবি করেছিলেন হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল তাঁর। এই ব্যাপারে বেশ কিছু ই-মেলও ফাঁস করেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনাই সাজানো বলে দাবি করেন হৃত্বিক এবং আইনি নোটিশ পাঠান কঙ্গনাকে। পাল্টা আইনি জবাব দেন কঙ্গনাও। তবে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় মুম্বই পুলিশ সেই মামলা বন্ধ করে দেয়। কাইট ছবির সেটে প্রথম পরিচয় হৃত্বিক কঙ্গনার। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন কৃষ থ্রি-তেও।