এক মাস ধরে বক্স অফিসে রাজত্ব করছে জওয়ান। বছরের দ্বিতীয় ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েছেন কিং খান পরিচালক অ্যাটলি কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে। একগুচ্ছ নতুন রিলিজের মাঝেও কিন্তু খুব খারাপ আয় করছে না এই অ্যাকশন ড্রামা। sacnilk.com-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে পঞ্চম শনিবার অর্থাৎ ৩১ নম্বর দিনে এসে জওয়ান-এর সংগ্রহ দেশ থেকে ২.১০ কোটি।
আপাতত জওয়ান-এর টক্কর চলছে অক্ষয় কুমারের মিশন রানিগঞ্চ, বরুণ শর্মা-রিচা চাড্ডা, পঙ্কজ ত্রিপাঠি-র ফুকরে ৩, বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার-এর মতো ছবিগুলির সঙ্গে। শুক্রবারে যেমন ছিল মিশন রানিগঞ্জের দ্বিতীয় দিন। আর ছবির সংগ্রহে ৪.৭০ কোটি। ফুকরে ৩ ছবিখানা শনিবার পা রাখল ১০ দিনে। আর ঘরে তুলল ৩.৬০ কোটি।
জওয়ান বক্স অফিস কালেকশন:
মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহেও প্রতিদিনই কোটির ঘরে আয় করেছে জওয়ান। চতুর্থ সপ্তাহের মোট আয় ছিল ৩৫.৬৩ কোটি। শাহরুখ ভক্তদের আশা, আরও অন্তত ১ সপ্তাহ বক্স অফিসে চলবে জওয়ান। আপাতত কড়া টক্কর দেওয়ার মতো কেউই নেই শাহরুখের সামনে। ভারতের বাজার থেকে ছবির আয় এখন ৬২০. ৭৮ কোটি। অন্তত ৬৫০ টপকে যাক জওয়ান, মনে মনে চাইছেন কিং খান ভক্তরা।
বলিউডের বড় রিলিজ সেই নভেম্বরে। ১০ নভেম্বর আসবে টাইগার ৩। যাতে সলমন খান আর ক্যাটরিনা অর্থাৎ টাইগার আর জোয়ার রোম্যান্স বেশ অনেকদিন পর দেখতে পারবেন দর্শক। সঙ্গে ধুমধারাক্কা মারপিট, গোলাগুলি তো রয়েইছে। সঙ্গে আবার সলমনের এই সিনেমাতে কেমিও করার কথা রয়েছে শাহরুখের। ঠিক যেমন সলমন করেছিলেন পাঠানের ক্ষেত্রে।
ডিসেম্বরেও রয়েছে বেশ বড় একটা টক্কর। বছর শেষ হবে একেবারে ধামাকা দিয়ে। কারণ একসঙ্গে একইদিনে মুক্তি পাবে শাহরুখ খানের ২০২৩ সালের তৃতীয় রিলিজ ডাঙ্কি আর প্রভাসের সালার। ২২ ডিসেম্বরের তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছে দুটো ছবিই। রাজকুমার হিরানি-র পরিচালনায় আসছে ডাঙ্কি। মুখ্য চরিত্রে শাহরুখ ও তাপসী পান্নু। এছাড়াও রয়েছেন ধর্মেন্দ্র ও ভিকি কৌশল। এর আগে সঞ্জু, থ্রি ইডিয়টস, পিকে, লগে রহো মুন্না ভাই-এর মতো ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন রাজকুমার হিরানি। তাই এই ছবি নিয়ে আলাদাই উত্তেজনা দর্শকদের মধ্যে।
তবে সালারও কিন্তু কম যাবে না। শোনা যাচ্ছে, ১০০ কোটি পারিশ্রমিক নিয়েছেন প্রভাস এই ছবির জন্য। বাহুবলী, কেজিএফের মতো আবারও একটা ছবি আসছে দক্ষিণ থেকে। প্রভাস ছাড়াও যাতে রয়েছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, শ্রুতি হাসান এবং জগপতি বাবু। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল এই ছবির শ্যুট। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বানানো হয়েছে এই সিনেমা। পরিচালনা প্রশান্ত নীলের।