বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ অমিতাভ এবং জয়া বচ্চনের কন্যা শ্বেতা নিজের ৪৮ তম জন্মদিনের কেক কাটলেন। বুধবার রাতে শ্বেতার জন্মদিনের পার্টি শেষে গাড়ি চেপে বেরোতে দেখা যায় জয়া বচ্চনকে। জয়াকে দেখে এক অতি উৎসাহী পাপারাৎজি তাঁর ক্যামেরাখানি বাগিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর দেরি না করেই শাটার চাপা শুরু হয় ক্যামেরার। ঝলকে ওঠে ফ্ল্যাশ। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে জয়া চোখ-মুখ কুঁচকে হাত নাড়িয়ে গাড়ির মধ্যে থেকেই বিড়বিড় করে কিছু বলে ওঠেন ওই পাপারাৎজিকে। গোটা মুহূর্তের ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির মধ্যে সাদা রঙের সালোয়ার পরে বসে রয়েছেন জয়া। পাশে বসা আরও একজন মহিলার সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তাও সারছেন। এরপর যখন পাপারাৎজিরা তাঁর গাড়ির কাচের সামনে গিয়ে ছবি তোলা শুরু করল, সেই মুহূর্তে এক ঝটকায় পিছন ফিরে হাত নাড়িয়ে তাঁদের উদ্দেশে কিছু বলা শুরু করলেন অমিতাভ-পত্নী। জোয়ার মুখভঙ্গি এবং হাত নাড়ানো থেকেই স্পষ্ট তিনি যথেষ্ট বিরক্ত এবং তাঁর বলা কথাগুলো মোটেই মিষ্টি মধুর নয়।
আসলে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনওদিনই দারুণ 'ফ্রেন্ডলি' নন জয়া বচ্চন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমতো ধমকে চমকে কথা বলা শুরু করে দেন তিনি। সাংবাদিকদেরও বকুনিও মাধেমধ্যেই দেন বৈকি! তা জোয়ার এহেন ভিডিয়ো দেখে নেটপাড়ার এক অংশ বেশ মজাই পেয়েছে। কেউ কেউ বলছেন জয়া হয়ত তাঁর সেই বিখ্যাত সংলাপ আউড়ে উঠছিলেন, ' এটা বুঝি ফটো নেওয়ার কোনও জায়গা হল?' আসলে ২০১৪ সালে পাপারাৎজিদের সঙ্গে এক তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছিলেন জয়া। তখনই বিরক্তি সহকারে এই কথাটি বলেছিলেন তিনি, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এহেন কমেন্ট পড়ে ফুট কেটেছেন অন্য এক নেটিজেনও, 'এই কথাটা তো ওঁর খুব ফেভারিট!' আবার কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেছেন,' ফের খচে গিয়েছে! সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কেন সবসময় এরকম ব্যবহার করেন জয়া বচ্চন?'