'বলিউডের মানহানির ষড়যন্ত্র চলছে'-মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসাদ তথা বলিউড অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। উল্লেখ্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাদকাসক্তি নিয়ে গতকালই লোকসভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ তথা অভিনেতা রবি কিষাণ।
নাম না করেই এদিন বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণ এবং অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে একহাত নিলেন জয়া বচ্চন। তিনি বলেন, ‘বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির মানুষজনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকে গালমন্দ করছে। যাঁরা বিনো-দুনিয়া থেকেই নিজেরনাম তৈরি করেছে তাঁরাই এটাকে নর্দমা বলছে।এরা যে থালায় খায়, সেই থালাতেই ফুটো করে। আমি এর সঙ্গে সহমত নই।আমি আশা করছি সরকার এই মানুষদের বলবে এই ধরণের শব্দের ব্যবহার না করতে’।
অমিতাভ পত্নী যোগ করেন, ‘ কিছু মানুষের জন্য কখনই গোটা ইন্ডাস্ট্রির ইমেজ নষ্ট করা উচিত নয়। আমি লজ্জিত যে গতকাল আমাদের লোকসভার এক সদস্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে কথা বলেছে যে নিজে সেটার অংশ। এটা লজ্জাজনক’।
উল্লেখ্য গত মাসে কঙ্গনা রানাওয়াত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নর্দমা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যদি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বুলিউডে (বলিউডে কটাক্ষা করে এই নামেই চিহ্নিত করেন কঙ্গনা) পা দেয় তাহলে বহু প্রথম সারির তারকাই জেলেবন্দি থাকবে। যদি রক্ত পরীক্ষা করা হয় তাহলে অনেক চাঞ্চল্যকর সত্যি সামনে আসবে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত মিশনের সাফাই অভিযানে বুলিউড নামের নর্দমাটাও সাফ হবে’।
জয়ার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণ এনএনআইকে জানান, তিনি আশা করেছিলেন জয়া বচ্চন এই মামলায় তাঁকে সমর্থন করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলিনি ইন্ডাস্ট্রির সকলে মাদক সেবন করে। যখন জয়াজি এবং আমি এসেছিলাম এই ইন্ডাস্ট্রিতে তখন পরিস্থিতি অনেক আলাদা ছিল।কিন্তু এখন এই ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে হবে’।
সোমবার রবি কিষান লোক সভায় বলিউডের মাদকযোগের প্রসঙ্গে তোলেন। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। বিহারের এই জনপ্রিয় তারকার দাবি, পাকিস্তান ও চিন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে হু হু করে ড্রাগ ঢুকছে যা আমাদের দেশের যুবা প্রজন্মকে নেশায় বুঁদ করে দিচ্ছে। পুরোটাই প্রতিবেশি দেশের ষড়যন্ত্র।
বলিউডের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মাদকচক্রের খোঁজে ভালো কাজ করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো জানান এই ভোজপুরী অভিনেতা। দ্রুত দোষীদের খুঁজে বার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার, জানান তিনি।
সুশান্ত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডের তদন্ত করছে এনসিবি। ইতিমধ্যে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। মাদকচক্রে জড়িত থাকার অপরাধে রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।