শ্রীদেবী আর তিনি একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করলেও শ্যুটিংয়ে চিত্রনাট্যের সংলাপ 'ডেলিভারি' করা ছাড়া কখনও পরস্পরের সঙ্গে তাঁরা গল্পগাছা করা তো দূরে থাক, সামান্য কথাবার্তাও বলেননি! সম্প্রতি ছোটপর্দার একটি জনপ্রিয় গানের শোতে এসে এমনটাই জানালেন জয়া প্রদা। 'আখরি রাস্তা','ঔলাদ' এর মতো একাধিক সুপারহিট ছবিতে একঙ্গে কাজ করলেও পর্দার বাইরে তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন মোটেই জমাটি ছিল না বলেই মন্তব্য এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। শুধু তাই না,তিনি আরও জানিয়েছেন যে একবার জিতেন্দ্র এবং রাজেশ খান্না পরিকল্পনা করে তাঁকে ও শ্রীদেবীকে একসঙ্গে একটি ঘরে তালাবন্দি পর্যন্ত করে রাখেন। উদ্দেশ্য ছিল স্রেফ শ্রীদেবী ও তাঁর মধ্যে যেন আলাপচারিতাটা একটু জমে ওঠে। তবু সেই ঘরবন্দি অবস্থাতেও তাঁদের মধ্যে তেমন কোনও কথাই হয়নি বলে জানান জয়া প্রদা।
জয়ার কথায়,' শ্রীদেবীর সঙ্গে আমার কোনওরকম ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল না। পরস্পরের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করলেও পর্দার বাইরে আমাদের সম্পর্কের রসায়নটা একেবারেই জমেনি এই যা। পর্দায় দুই বোনের চরিত্রে আমরা জমাটি অভিনয় করলেও বাস্তবে শ্রীদেবীর সঙ্গে চোখে চোখ রাখাটুকু পর্যন্ত হয়ে উঠতো না আমার। শুধু শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগে নিয়মমাফিক হাই-হ্যালোটুকুই যা বলা হতো।' যদিও সেই সময়ে নাচ থেকে পোষাক,সব বিষয়েই এই দুই অভিনেত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতো বলেই জানিয়েছেন জয়া। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবরে যে তিনি অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছিলেন সেকথাও অকপটে স্বীকার করেছেন জয়া।
এরপরেই শ্রীদেবীর স্মৃতিচারণা করার ফাঁকে তাঁদের 'ঘরবন্দি' হওয়ার ঘটনাটির উল্লেখ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। জয়া বলেন তখন সম্ভবত 'মকসাদ' ছবির শ্যুটিং চলছিল।তাঁর এবং শ্রীদেবীর মধ্যে বন্ধুত্ব করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জিতেন্দ্র ও রাজেশ খান্না পরিকল্পনা করে একটি ঘরে তাঁদের তালাবন্দি পর্যন্ত করে রাখেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে একটি কথা পর্যন্ত বিনিময় হয়নি।নিজের বক্তব্যের শেষে অভিনেত্রীর সংযোজন,' আজ যদি শ্রী আমার কথা শুনতে পায় কোথাও থেকে,তাহলে এইটুকুই বলতে চাই যদি আমাদের মধ্যে কথা হতো,বড্ডো ভালো হতো.'
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দুবাইয়ে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন শ্রীদেবী। জানা গেছিল,হোটেলের বাথটবে জলে ডুবে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।