আরজি কর কাণ্ডের পর সোমবার, ২১ অক্টোবর প্রথমবার লাইভ স্ট্রিম করা হয় জুনিয়র ডাক্তার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের। সেখানে অনিকেত মাহাতোকে একটা সময় বলতে শোনা যায়, 'আরে ধুর! বলতে দিলে তো বলব'। এদিন এই ভিডিয়ো এবং কথা ভাইরাল হয়ে যায়। আগুনের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায় ভিডিয়ো। জিতু বললেন জুনিয়র ডাক্তার নাকি মুখ্যমন্ত্রী নয় তাঁর সহকর্মীকে বলেছেন। আর তারপরই তাঁকে কটাক্ষের সুরে বিঁধলেন নেটনাগরিকরা।
আরও পড়ুন: একচ্ছত্র আধিপত্য রইল না আর! রিলায়েন্স - সারেগামা নয়, কাকে ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাংশ বেচলেন করণ?
কী লিখেছেন জিতু?
এদিন জিতু কমল অনিকেত যেই মুহুর্তে কথাটি বলেছিলেন সেই সময়কার অংশটুকু পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটার ক্যাপশনে লেখেন, 'আমি কারওর পক্ষপাতিত্ব করে ভিডিয়োটাকে পোস্ট করছি না। একটু ভালো করে শুনুন, দেখুন। একজন ডাক্তার তার অন্য সিনিয়র ডাক্তারের নাম ধরে বলছে যে আমাকে বলতে দাও। মুখ্যমন্ত্রীকে কি আদৌ বলছে বলতে দিলে তো বলবো।'
তিনি এটি পোস্ট করতেই তাঁকে আক্রমণ শানান নেটনাগরিকরা। একেবারেই সমর্থন করেননি তাঁর মন্তব্যকে। উল্টে কটাক্ষ করেছেন।
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'ভিডিয়োটা ভালো করে দেখেই বলছি, কথাটা মাননীয়ার উদ্দেশ্যে ই বলা হয়েছে।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'দুনিয়ার লোক জানে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনে কাউকে বলতে দেয় না। তাছাড়া আমি অরাজনৈতিক বলে সাইড হয়ে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে তেল মারতে এরকম অনেককেই দেখলাম। আরে বাবা চটিই যখন চাটবে তখন প্রকাশ্যেই চাটো না বাপু।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'অনেক আগেই শ্রদ্ধা হারিয়েছেন। সম্মানটুকু হারাবেন না। দয়া করে এবারে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'দাদা সন্দেহ রেখো না, আমরা সবাই জানি কে বলতে দিচ্ছিল না। নিশ্চিত থাকো তাই। মুখ্যমন্ত্রীকেই বলেছে। বেশ করেছে।'
আরও পড়ুন: ফিরছে করোনাকালের রেশ? OTT -র ভিউজ বাড়লেও হুড়মুড়িয়ে কমছে সিনেমা হলের ব্যবসা, কী বলছে রিপোর্ট?