শুধু অভিনয় নয়, নিজের লেখনীর জন্যও বরাবর প্রশংসা কুড়োন জিতু কমল। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব জিতু। শুধু তাই নয়, নিয়মিত খবরের আপটেড দিয়ে থাকেন। মাঝেমধ্যে তো সাংবাদিক হিসাবে কাজ করার ইচ্ছেও জাহির করেন অভিনেতা। বুধবার সন্ধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে লম্বা পোস্ট করলেন জিতু।
একটা সময় আরজি করের সর্বেসর্বা ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এখন সিবিআই হেফাজতে। জোড়া মামলার ফলা তাঁর উপর। একদিকে আর্থিক দুর্নীতি, অন্যদিকে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণ মামলায় তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে জেরবার সন্দীপ।
বৃহস্পতিবারই আরও একটা বড় ধাক্কা খেতে পারেন সন্দীপ ঘোষ। ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলকে চিঠি দেওয়ার পর অবেশেষে বাতিল হতে চলেছে সন্দীপ ঘোষের রেজিট্রেশন। এই নিয়ে আগামিকালই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি হতে পারে। অর্থাৎ আর ডাক্তারই থাকবেন না সন্দীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে জিতু লিখলেন, ‘সন্দীপ কাকা যখন ছোট ছিল, তখন সন্দীপ কাকার বাবা-মা কি জানতো বড়ো হয়ে তার ছেলে রেজিস্ট্রেশন খোঁয়াবে??? কত কষ্ট করে সন্দীপ কাকার বাবা-মা সন্দীপ কাকাকে ডাক্তার তৈরি করেছিলেন। তাই এখনকার জুনিয়র ডাক্তারদের আমার একটাই অনুরোধ থাকলো,তোমরাও যখন ডাক্তার হবে গরিব মানুষের কথা চিন্তা করো,মানুষের সেবা-শুশ্রূষার কথা চিন্তা করো।’
এরপর জিতুর সংযোজন, ‘একটু ভালো ব্যবহার করো রুগি আর রুগীর পরিবারের সঙ্গে, সে সময় তারা নিরুপায় থাকে তাই তোমাদের হাতে-পায়ে ধরে’।
জিতুর এই পোস্টে অনেকেই খুশি জাহির করেছেন। তবে কেউ কেউ আশঙ্কার কথাও বলেছেন। এক নেটিজেন লেখেন, ‘কেস যদি মিটে যায় সেক্ষেত্রে তিনি আবার রেজিস্ট্রেশন ফিরে পাবেন। এইরকম বহু নজির আছে। আগে দেখুন কেসটা কতদুর এগোয়... আর সিবিআই কোর্টে কতটা প্রমাণ করতে পারে..’।
আগেই সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। বাতিল করে দেওয়া হয় সদস্যপদও। আইএমএর কলকাতা শাখায় বেশ উল্লেখযোগ্য পদে ছিলেন এই সন্দীপ। তবে রেজিস্ট্রিশন বাতিল নিয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বক্তব্য ছিল, কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে ততক্ষণ তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় না। তবে গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন তাঁর রেজিস্ট্রশন বাতিল করা হবে না? ৩ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু আসেনি উত্তর। এই প্রসঙ্গে বুধবার কাউন্সিলের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় জানান, 'আমরা পরের বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমি একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। যে কোনও দিন আমাদের বৈঠক হবে এবং সেখানে রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’