জিতু কমলের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা আচমকাই করে বসেছিলেন নবনীতা দাস। বোঝা গিয়েছিল, এমনটা যে হতে পারে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না অপরাজিত অভিনেতারও। নবনীতাই সেই সময় লিখেছিলেন, অনেকদিন ধরেই তাঁরা বুঝতে পারেন সব ঠিক নেই আর আগের মতো। আগের মতো একে-অপরের সঙ্গে খুশিতে নেই তাঁরা। তাই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে। নবনীতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা আদালতে ডিভোর্স ফাইল করে ফেলেছেন। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৬ মাস আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন। অগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বরেই শেষ বিচ্ছেদের কাগজও হাতে পেয়ে যাবেন।
তবে এসবের মাঝে নবনীতার দিকে উঠেছে পরকীয়ার অভিযোগ। খবর রয়েছে, পেশায় পোশাক ব্যবসায়ী স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে প্রেমে মজে রয়েছেন বিয়ের ফুল অভিনেত্রী আজকাল। আর এই গুঞ্জন জোড়ালো হয় যখন দুজনে একই লোকেশন থেকে ছবি শেয়ার করেন। দেখা যায় স্নেহাল আর নবনীতা দুজনেই একই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর সেই ফোটো তোলা হয়েছে গোয়াতে।
এসবের মাঝেও চুপ জিতু। বিচ্ছেদ নিয়ে একটাও কথা বলেননি তিনি। ইঙ্গিতবহ স্টোরি সোশ্যালে দিয়ে চললেও, খোলসা করেননি মনের কথা। বরং সরাসরি এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আইনত নবনীতা এখনও তাঁর স্ত্রী। আর বউয়ের নামে একটাও খারাপ কথা শুনতে রাজি নন তিনি।
সোমবার ছিল জিতুর জন্মদিন। সকাল থেকে শুভেচ্ছায় ভরাতে শুরু করে বন্ধু, সহকর্মী অনুরাগীরা। চুপ ছিলেন নবনীতা। সমালোচনা বাড়তে রাতের দিকে জিতুর ছবি দিয়ে যেন দায়সারা ভাবেই লিখে গেলেন, ‘শুভ জবন্মদিন’।
সে যাই হোক, বুধবার জিতু নিজের একটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে তাঁর সবটা মন পড়ে রয়েছে ফোনের স্ক্রিনে। অপলকে যেন ফোনকেই দেখছেন। এই পোস্টের ক্যাপশনে জিতু লিখলেন, ‘তোমাদের সবারই বার্তা পড়ছি। অনেক ধন্যবাদ আমার জন্মদিনটা এত বিশেষ করে তোলার জন্য়। অনেক ভালোবাসি তোমাদের।’
গত বছরও ইস্মার্ট জোড়ি-তে একসঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন জিতু আর নবনীতা। তাঁদের একসঙ্গে বোঝাপড়া দেখে নেটপাড়া নাম দিয়েছিল পাওয়ার কাপল। কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি, কয়েক মাস গড়াতে না গড়াতেই ভালোবাসা ফুরিয়ে যাবে এভাবে। আলাদা হয়ে যাবে দুজনের পথ।
এদিকে স্নেহালের সঙ্গে বন্ধুত্ব মেনে নিলেও প্রেমের কথা মানতে নারাজ নবনীতা। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘স্নেহাল আমার নতুন বন্ধু। কয়েক মাস হল আলাপ হয়েছে। তার সঙ্গে তো এমন কোনও কথা রটা উচিত নয়।’