২০২২। জীতু কমলের পেশাগত জীবনের মাইলফলক হয়ে আসে 'অপরাজিত'। এর পর তাঁর জীবন বদলেছে অনেকটাই। সেই পরিবর্তন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি নিজেও। বেড়েছে ব্যস্ততা, কমেছে অবসর যাপনের অবকাশ। তবে পুজোর চারটে দিন একেবারে অন্য ভাবে কাটাবেন পর্দার অপরাজিত রায়।
শ্যুটিং ফ্লোরের 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন' থেকে দূরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার আসর বসাবেন জীতু। যেমনটি তিনি করে থাকেন প্রত্যেক বছর। অভিনেতার কথায়, 'পুজোর কয়েকটা দিন আমি কাছের মানুষদের সাথে কাটাতে পছন্দ করি। আপাতত বেশ কিছু ইভেন্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। পরিক্রমাও আছে কয়েকটা। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে আর কোনও কাজ নয়। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে বসে চুটিয়ে আড্ডা হয়। পুরনো দিনের গল্পগুলোই ঘুরেফিরে উঠে আসে। কিন্তু কখনও একঘেয়ে লাগে না!'
বাঙালির হুজুগ তো বহুমাত্রিক। নতুন জামাকাপড় আর প্রাণ খোলা আড্ডার সঙ্গেই পেটপুজোর দিকেও থাকে বিশেষ নজর। ব্যতিক্রম নন জীতুও। সারা বছর কঠিন ডায়েট মানলেও দুর্গাপুজোর চারটে দিন চলে ইচ্ছা মতো খাওয়াদাওয়া। তিনি বললেন, 'আমরা বন্ধুরা মিলে গাড়ি করে ব্যারাকপুর চলে যাই। সেখানকার বিরিয়ানি ছাড়া পুজো ভাবাই যায় না। এ বছরও তা-ই করব। এখন চাইলে অর্ডার করেও বাড়িতে খাবার আনানো যায়। কিন্তু সবাই মিলে গিয়ে খাবার আনার মজাটাই আলাদা! আমরা আগাগোড়াই তাই করে এসেছি।'
(আরও পড়ুন: না জিজ্ঞেস করেই লিখে দিয়েছে সবাই, পুজো উদ্বোধনের রেট নিয়ে দাবি মানালির)
'তারকা' তকমা তবে পুরনো অভ্যাস বদলে দিতে পারেনি? খানিক হেসে অভিনেতার উত্তর, 'না। আমি মনে করি, আমার বদলানোর প্রয়োজন নেই। যদি বদলাতেই হয়, তবে নিজেকে আরও পরিণত করে তোলার চেষ্টা করব। তারকাসুলভ আচরণ নেই বলে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়েছি। আবার এই একই কারণে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি কিন্তু ইতিবাচক দিকটাই দেখি।'
(আরও পড়ুন: আমার কোনও বন্ধু নেই, পুজোর দিনগুলো পরিবারের সঙ্গেই কাটাব: ‘চিঠি’ দেবচন্দ্রিমা)
পুজোর চারটে দিন নিজেকে আলোকবৃত্ত থেকে সরিয়ে রাখবেন জীতু। মোবাইলও যথাসম্ভব কম ব্যবহার করবেন। উৎসবের দিনগুলিতে স্ত্রী নবনীতা দাস এবং বন্ধুরাই তাঁর সঙ্গী। ঢাকের আওয়াজ আর মাইকের কোলাহলের মাঝেই আরও একবার জীবন্ত হবে স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম প্রেম আর মন ভাঙার গল্পরা।