ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। শারদীয়ার আমেজ চারিদিকে। রাত পোহালেই মহালয়া। তবে এবার পুজোটা আগের মতো নেই নবনীতার কাছে। জিতুর বাবা-মা'র সঙ্গে ছবি শেয়ার করে মন খারাপের কথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণার পর থেকেই চর্চায় নবনীতার ব্যক্তিগত জীবন। একদিকে ডিভোর্স অন্যদিকে নতুন প্রেমের চর্চায় জর্জরিত ‘বিয়ের ফুল’ অভিনেত্রী।
এর মাঝেই মহালয়ার ঠিক আগের দিন যেন দেবী রূপে ধরা দিলেন নবনীতা। কাঁধ খোলা ব্লাউজ আর লাল পেড়ে শাড়ি সঙ্গে শাখা-পলা আর জড়োয়া সোনার গয়নায় ঝলমলে নবনীতা। মাথায় মুকুট, টিকলির ফাঁকে সুস্পষ্ট চওড়া সিঁদুর। গাছতলায় যেন কার পথে চেয়ে বসে আসেন সুন্দরী। ঠোঁটে হালকা হাসির রেখা। এই ছবির ক্যাপশনে নবনীতা যোগ করেছেন, ‘🕉' (ওমকার)।
নবনীতার এই সাজে মুগ্ধ সকলে। একজন লেখেন, ‘সাক্ষাৎ মা দুর্গা লাগছে’। অপর একজন লেখেন, ‘এই সাজে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে’।
ভালোবেসে জিতুকে বিয়ে করেছিলেন নবনীতা। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নিজেই। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের। ডিভোর্সের ঘটনা নিয়ে এক্কেবারে চুপ জিতু। অথচ আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন একটু বেশিই সক্রিয় তিনি। তবে নায়ক জানিয়েছেন,গত পাঁচ মাসে তাঁর কোনও পোস্টই নবনীতা কেন্দ্রিক নয়। সবটাই মিডিয়ার ‘ভ্রান্ত ধারণা’।
এদিকে নবনীতার পুজো এবার বড্ড ম্যাড়মেড়ে। গত সপ্তাহে নবনীতা ইনস্টাগ্রামে তাঁর 'প্রাক্তন' স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেন। পুজোর আবহে তোলা সেই দুই ছবি। প্রেক্ষাপটের আলোকসজ্জা, পুজো মণ্ডপ সেই কথাই জানান দিচ্ছে। সাবেকি সাজে হাসিমুখে নবনীতা। সেলফিতে লেন্সবন্দি গোটা পরিবার। নবনীতা মনের ভাবনা ব্যক্ত করে লিখেছিলেন- 'এই বছর তোমাদের ছাড়াই পুজো কাটাতে হবে'।
এর আগে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও পুজো পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে আফসোস জাহির করেছিলেন নবনীতা। জানিয়েছিলেন- ‘এবছরের দুর্গাপুজো অবশ্যই আগের বছরের পুজোগুলির থেকে আলাদা। প্রত্যেকবার সিঁদুর খেলতাম, অঞ্জলি দিতাম, এবার আর সেসব হবে না। এবছর তাই ভেবেছিলাম ঘুরতে চলে যাব। একমাসের ভিসা আছে, তাই ভেবেছিলাম লন্ডন যাব। তবে এক সপ্তাহের বেশি ছুটি পাব না, তাই হয়ত বিদেশে যাওয়া হবে না। তবে অষ্টমী থেকে যদি ছুটি পাই, তাহলে দেশেই কোথাও ঘুরে আসব।’