ভাঙা সম্পর্কেই নতুন রং লেগেছে গত দেড় বছরে। গত বছর থেকে ব্র্যাড পিট ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জেনিফার অ্যানিস্টোনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেনিফারের ৫০ বছরের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির ছিলেন ব্র্যাড। চলতি বছর স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডের লাল গালিচায় এই প্রাক্তন জুটির রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এবার ভার্চুয়াল দুনিয়ায় প্রেমালাপে মজলেন পিট-অ্যানিস্টোন। সৌজন্যে ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাক্ত ছবি ‘ফাস্ট টাইমস’ এর রি-ইউনিয়ান। সাড়া জাগানো এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এই জুটি। প্রায় চল্লিশ বছর পর এই ছবির কাস্ট অ্যান্ড ক্রুয়ের পুর্নমিলন ঘটল ইন্টারনেটের সুবাদে। এই ভার্চুয়াল আড্ডায় পিট, অ্যানিস্টোন ছাড়াও অংশ নেন ম্যাথু ম্যাকানগে, জুলিয়া রবাটর্স, শিয়া লেবেউফ,হেনরি গোল্ডিং, কমেডিয়ান জিমি কিমেল সহ অনন্যারা।
তবে অনুরাগীদের নজর কাড়ল ব্যাড পিট ও জেনিফার অ্যানিস্টোনের খুলমখুল্লা রোম্যান্স। একে অপরের সঙ্গে ফ্ল্যার্ট করবার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করলেন না তাঁরা। জেনিফার তো ‘হানি’ পিটকে ‘সেক্সি’ বলতে পিছপা হলেন না। যোগ করেন ‘প্লিজ কাম টু মি’ বাক্যটিও।
১৯৯৮ সালে শুরু হয়েছিল পিট-অ্যানিস্টনের প্রেম কাহিনি। দু বছর পর ২০০০ সালের ২৯ জুলাই বিয়ের পর্ব সারেন এই জুটি। তবে পাঁচ বছর পরেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। সেই সময় কাছাকাছি চলে এসেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। সেটাই নাকি ছিল এই জুটির ঘর ভাঙার কারণ, তেমনই কানাঘুষো শোনা যায়।
সাত বছর জোলির সঙ্গে প্রেম করবার পর ২০১২ সালে বাগদান সারেন ব্র্যাঞ্জেলিনা জুটি, দু বছর পর বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে আচমকাই ছেদ ধরে এই সম্পর্কে। এবং ২০১৯ সালে এই জুটির ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়। তারপর থেকেই নিজের প্রথম স্ত্রী জেনিফার অ্যানিস্টোনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে পিটের। পিটের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক ছেদ পড়বার এক দশক পর ২০১৫ সালে জাস্টিন থেরক্সকে বিয়ে করেছিলেন অ্যানিস্টোন। তবে দু-বছর পরেই ভেঙে যায় নায়িকার দ্বিতীয় বিয়ে। তাই ব্র্যাড পিট এবং জেনিফার অ্যানিস্টোন দুজনেই এখন ভীষণভাবে সিঙ্গল।