বাঙালি ইউটিউবার হিসেবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম সারিতে নাম আসে ঝিলম গুপ্তার। বিভিন্ন সিরিয়াল হোক বা সামাজিক কোনও বড় ইস্যু, ঝিলম গুপ্তা সবকিছুরই চুলচেরা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রাখেন। তবে সেটা নিজস্ব হাস্যরস মিশিয়ে। আর তাই তো ভিডিয়ো পোস্ট করতে না করতেই সেগুলো ভাইরাল হয়। ভিউজ ছাড়িয়ে যায় লাখের গণ্ডি। তবে সেই ঝিলমই এবার আর ভিডিয়ো বানাবেন না। ঝিকিমিকি টুম্পা- আর শুনতে পাবে না দর্শক-শ্রোতা। ইউটিউবার নিজেই এমনটা ঘোষণা করলেন ফেসবুকে। যা দেখে মন খারাপ অনুরাগীদের।
ঝিলম সোমবার দুপুর নাগাদ একটি পোস্ট করেন ফেসবুকে। সেখানে লেখেন, ‘বিদায়…করোনার ঢেউ আসার একটু আগে শুরু করেছিলাম শখের বশে ভিডিয়ো দেওয়া। ছোটবেলা থেকে লিখতে, মিমিক্রি করতে আর অভিনয় করতে ভালবাসতাম। সেই তিনটে ভালোবাসা ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইলো আমার ভিডিয়োগুলোর মাধ্যমে। শেষ তিনটে বছরে আমি ছয় লাখের বেশি মানুষকে টেনে আনতে পেরেছিলাম আমার ফেসবুক পেজটায়। লোকজন হাত উপুড় করে ভালোবাসা দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ‘সেরা ডেবিউ’ সৌমিতৃষা! টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কৃত প্রসেনজিৎ, ইমন-সহ আর কারা?
তবে ঝিলমের অভিযোগ আগের মতো আর তাঁর ভিডিয়োতে দর্শক হচ্ছে না। ফলে হতাশায় যে ভরে গিয়েছে তাঁর মন, তা স্পষ্ট তাঁর লেখা থেকেই। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কিন্তু সব কিছুর শেষ হয়। কোনো অজানা কারণে আমার ভিডিয়ো মানুষের কাছে পৌঁছতেই পারে না আর। জাস্ট হয় না। কারণ খোঁজার চেষ্টা অনেক করেছি। পারিনি। মানুষকে কমেন্টে অনুরোধ করেছি ভিডিয়ো শেয়ার করতে যাতে কোনো টেকনিকাল গ্লিচ থাকলে সেটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায় আর রিচ শুধরে যায়। এই ভিডিয়ো ছাড়া আমার আর কিছু তো নেই।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মিঠু চক্রবর্তী, চলছে কেমো! কেমন আছেন এখন, জানালেন সব্যসাচী

কিন্তু না। কেউ কথা শুনলনা। কেউ না। অনেক ডাক দিলাম। তবু কেউ শুনলনা। আমি ফাঁকা হয়ে গেলাম। আমার ভিডিয়োগুলো আমার শক্তি ছিল। আমার আত্মসম্মান ছিল। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। সব ধ্বংস হয়ে গেল। আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি মানসিক ভাবে। আমার আর কিছুই নেই। কিছু দেওয়ার নেই, পাওয়ার নেই, কিচ্ছু নেই।’
আরও পড়ুন: শাহরুখ-অক্ষয়ের ভাইচারা! মোদী মিলিয়ে দিল খিলাড়ি আর পাঠানকে, ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাস
নিজেকে নিঃস্ব ঘোষণা করে ঝিলম আরও লিখলেন, ‘এখন কি কাজ করবো জানিনা। ঠিক করিনি। কারণ ঠিক করার মতো মনের অবস্থা নেই। টুক টাক কিছু করে নিতে পারবো হয় তো, বা হয়তো পারবোনা। জানিনা। আর ভাবতে পারছিনা এই মুহূর্তে। আপনাদের থেকে বিদায় নিচ্ছি। আপনারা খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন গত তিন বছরে। তাই অনেক ভালোবাসা রইলো। রাস্তাঘাটে দেখা হলে ডাকবেন। আপনাদের খুব হাসাবো কথা দিলাম।’