প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের মা রাবিয়া খানের সম্প্রতি সুরজ পাঞ্জলির বিরুদ্ধে কেস রি-ওপেন করার আবেদন জানিয়েছিল, যা নাকচ করে দিল আদালত। ২০১৩ সালের ৩ জুন নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল জিয়ার দেহ। আর এই ঘটনার পর জিয়ার মা একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন মেয়ের প্রেমিক-অভিনেতা সুরজের উপরে। সম্প্রতি রাবিয়া ফের একবার বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৯ বছরের এই মামলার তদন্ত পুনরায় চালু করার জন্য। যেখানে দাবি করা হয়েছিল এর আগে সিবিআই-এর করা তদন্তের রিপোর্টে ভুল আছে।
তবে বম্বে হাইকোর্ট সোমবার এই পিটিশন খারিজ করে দেয়। রাবিয়া যেখানে ফের দাবি তুলেছিলেন তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁর হাতে নতুন প্রমাণ আছে বলেও জানান। সঙ্গে জিয়ার মা এই আবেদনা জানান তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক কোনও স্বাধীন এজেন্সিকে দেওয়া হোক।
রাবিয়ার উকিলরা এই প্রসঙ্গে জানান, একদম প্রথমে যখন মুম্বই পুলিশ তদন্তে করেছিল তখন অনেক ভুল ছিল। এরপর তাঁদের মক্কেল আদালতের দ্বারস্থ হলে তদন্তের দায়িত্ব যায় সিবিআই এর হাতে ২০১৪ সালের জুলাইতে। তবে তারাও ওই একই ভুল করে। তাই এখন রাবিয়া চাইছেন কোনও স্বাধীন এজেন্সি এই তদন্ত করুক।
পিটিআই-এর খবর অনুসারে বিচারপতি এএস গাড়করি ও এমএন যাদবের ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন ফিরিয়ে দেয় এবং জানায় সিবিআই-এর রিপোর্টের উপরে তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তদন্তের পর সিবিআইয়ের তরফে সুরজের উপর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে এদিন রাবিয়াকে জানানো হয়, বারবার আবেদন করে তিনি নিজেই এই কেস দুর্বল করে দিচ্ছেন।
২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে নিশব্দ দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন জিয়া। এরপর কাজ করেন আমির খানের গজনিতে। শেষ কাজ ছিল ২০১০ সালে হাউজফুলে জিয়ার কেমিও।