তিনি জিয়ার জীবনের খলনায়ক নন। শুক্রবার সিবিআই আদালতের রায়ে জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় (Jiah Khan Suicide Case) নির্দোষ প্রমাণিত সূরজ পাঞ্চোলি। মেলেনি উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ, তাই ১০ বছর পর লিভ ইন পার্টনারের আত্মহত্যার মামলা থেকে বেসকুর খালাস পেলেন এই বলিউড তারকা। আদালতের রায়ের পর খুশির হাওয়া পাঞ্চোলি পরিবারে।
নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি সূরজ (Sooraj Pancholi)। তবে ইনস্টাগ্রামে ২২ বছর বয়সী তারকা নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালেন। ইনস্টাগ্রামে সূরজ লেখেন, ‘সত্য়ের জয় সবসময় নিশ্চিত’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দেন ‘ঈশ্বর মহান’।
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ মা জরিনা ওয়াহাবের সঙ্গে আদালত চত্বরে উপস্থিত হন সূরজ। ‘হিরো’ তারকা পরনে ছিল সবুজ রঙা ফুল শার্ট এবং জিনস। এদিন মিডিয়ার ক্যামেরা তাঁকে ছেঁকে ধরলেও কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি সূরজ।
আরও পড়ুন- ‘প্রমাণের অভাব’, জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বেকসুর খালাস প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলি!
সূরজ কোনও কথা না বললেও তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘গত ১০ বছরে একটা রায়ও সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে যাইনি। মুম্বই পুলিশ বা সিবিআই নিজেদের তদন্তে সূরজের বিরুদ্ধে কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি’। তিনি আরও জানান, এই মামলায় ২২ জন আদালতে সূরজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। সেই সব খতিয়ে দেখবার পরেও আদালত সূরজকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে বলে জোর দিয়ে জানান অভিনেতার আইনজীবী।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান (Jiah Khan)। ২০১৩ সালের ৩রা জুন মুম্বইয়ের ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। সেই সময় সূরজের বয়স ছিল ২২ বছর। তখনও অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেননি তিনি। লিভ ইন সঙ্গীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে ২০১৩-র জুন মাসেই গ্রেফতার হন সূরজ, প্রায় একমাস পর জামিন মেলে।
এদিন আদালতের রায় ঘোষণার পর জিয়া খানের মা রাবিয়া খান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজ আত্মহত্য়ায় প্ররোচণার দায় থেকে রেহাই পেয়েছে। কিন্তু মার্ডারের অভিযোগ তো এখনও রয়েছে। প্রশ্ন হল আমার মেয়ে মরল কীভাবে? মৃত্যুর কারণ নিয়ে তো এখনও প্রশ্ন রয়ে গেল’। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন রাবিয়া খান, জানান তিনি।