'খাদান'-এর টিজারের পর ছবির প্রথম গানের টিজারে চমকে দিয়েছেন দেব। সকলেই আপাতত তাই ১২ নভেম্বরের অপেক্ষায়। ওইদিনই মুক্তি পাবে 'রাজার রাজা' গানটি। 'খাদান'-এর এই গানে যিশুকে দেখা যাবে কিনা জানা নেই। তবে ছবিতে তিনি আছেন গুরুত্বপূর্ণ অবতারে। সম্প্রতি দেবের নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে ছবির প্রচারে গিয়েছিলেন যিশু।
নাহ, যিশু গেলেও দেব নিজে সেখানে যেতে পারেননি। আর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই সোজা দেবের স্মরণাপন্ন হলেন যিশু। কিন্তু কেন হঠাৎ কেন তারকা সাংসদকে ফোন করতে হল তাঁকে?
বিষয়টা এমন কিছুই নয়, আসলে ছবির প্রচারে দেবের কথাগুলো মেদিনীপুরের জনতার কাছে সরাসরি তুলে ধরতেই এমনটা করেন যিশু সেনগুপ্ত। লাউড স্পিকারে রাখা ফোনটি মাইক্রোফোনের সামনে ধরেন তিনি। যেখানে দেবকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের গানটা পরশুদিন রিলিশ করছে (দেব কথাগুলি বলছিলেন রবিবার) সঙ্গে থাকবেন। আর খাদান যখন রিলিজ হবে সেটা দেখবেন।’ এরপর দেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোনটা রেখে, যিশু চিৎকার করে জনতাকে জিগ্গেস করেন 'দেখবেন তো?' বিপরীত দিক থেকে উত্তর আসে 'হ্য়াঁ'। সেই মুহূর্তটিই উঠে এসেছে টলিউড অনলাইনের ক্যামেরায়।
আরও পড়ুন-শিব মূর্তির পিছন থেকে ধর্মেন্দ্রর কথা বলা, সেই দৃশ্য আর হবে না: রোহিত শেট্টি
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত জীবনের করণে রোজই চর্চায় রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত। যিশু-নীলাঞ্জনার বিবাহ-বিচ্ছেদের কথা এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। বর্তমানে যিশু-নীলাঞ্জনা আর এক ছাদের তলায় থাকেন না বলেই জানা যায়। এমনকি যিশু কলকাতায় থাকলেও নীলাঞ্জনা ও দুই মেয়ে সারা-জারা যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়িতে ওঠেন না বলেই খবর। এদিকে বাবা-মায়ের এই লড়াইয়ে মায়ের সঙ্গেই রয়েছে তাঁদের দুই মেয়ে।
রবিবার বড় মেয়ে সারার জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় লম্বা একটা খোলা চিঠি লেখেন নীলাঞ্জনা। সেখানে যিশুকে মেয়ের জন্মদিন নিয়ে কোনও কথাই পোস্ট করতে দেখা যায়নি। আবার ১ দিন আগে ছোট মেয়ে জারার জন্মদিনও সুন্দর করে সেলিব্রেট করেছেন নীলাঞ্জনা। সেদিনও কোনওকিছু পোস্ট করতে দেখা যায়নি বাবা যিশুকে। আর তাতেই অবাক যিশু-নীলাঞ্জনার অনুরাগীরা।