আসতে চলেছে খাদান। এই ছবিতে দুই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে দেব এবং যিশু সেনগুপ্তকে। আর সেই ছবির প্রচারের মাঝেই এদিন যিশু তাঁর বিবাহিত জীবন নিয়ে কথা বললেন। একদিকে যখন তুঙ্গে ডিভোর্সের চর্চা, কাটাছেঁড়া চলছে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তখন মুখ খুললেন অভিনেতা। তবে রিয়েল লাইফ নয়, রিল লাইফ বিবাহিত জীবন নিয়ে। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। খাদান ছবিতে তাঁর এবং স্নেহার চরিত্র নিয়ে কথা বললেন এদিন যিশু। দিলেন দেবের বিষয়ে একটা বড় ইঙ্গিতও।
অনস্ক্রিন বিবাহিত জীবন নিয়ে কী জানালেন যিশু?
সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে যিশু জানান পর্দায় যে দেবের দুটো নায়িকা ইধিকা এবং বরখা, তাতে কী মনে হচ্ছে যিশুর? জবাবে অভিনেতা স্পষ্টই বলেন, 'না আমার তো আমারটা আছে। আমার তো রয়েছে স্নেহা। আমি একজনকে নিয়েই খুশি। আমি বিবাহিত।' এরপর দেবকে বলতে শোনা যায়, 'আসলে এই ছবির জন্য বরখা আমার প্রথম চয়েজ ছিল না। কিন্তু ও এই ছবিটার জন্য আশীর্বাদের মতো ছিল। ও যেহেতু অনেকদিন কাজ করেনি আউট অব সাইট আউট অব মাইন্ড হয়ে গিয়েছিল। পরে একজন ওর কথা সাজেস্ট করে। এই ছবির অন্যতম কঠিন চরিত্র ছিল এটা। লুকসেটের পর ওকে দেখে মনে হয়েছিল এই চরিত্র ও ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আর ভালো করেছেও কাজটা।'
দেব বাবা হচ্ছেন, এটা কী জানালেন যিশু?
পর্দায় দেবকে যে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে সেটা স্পষ্ট। খাদান ছবিতে বাবা ছেলের মতোই কি বাস্তবেও দেব এবং তাঁর বাবার সম্পর্ক? এই বিষয়ে দেব উত্তর দেওয়ার আগে যিশুই উত্তর দিয়ে দেন। বলেন, 'দেব আর ওর বাবার দারুণ ভালো সম্পর্ক। ইনফ্যাক্ট ওরা একে অন্যের খুব ভালো বন্ধু। রিল লাইফের বাবা ছেলের সম্পর্ক বোঝা যাবে ২০ তারিখ। কিন্তু বাস্তবে ওর বাবার সঙ্গে ওর (দেবের) সম্পর্ক খুবই ভালো।' এরপরই তাঁকে নেহাত মজা করেই বলতে শোনা যায়, 'আর পর্দায় দেব বাবা হবে ২০ তারিখ।' সহকর্মীর কথা হেসে ফেলেন দেবও। জবাবে বলেন, 'আমার চরিত্র দুটো চ্যালেঞ্জিং দুটো চরিত্র। শরীরী ভাষা, কথা বলার ধরন আলাদা। কিন্তু তাঁদের কী সম্পর্ক, তাঁরা কি বাবা ছেলে নাকি অন্য কিছু সেটা সিনেমা দেখলেই জানা যাবে।'
আরও পড়ুন: 'বসের বস' রজনীকান্তের জন্মদিনে শ্রদ্ধা শাহরুখের! শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখলেন, 'জানি আপনাকে সবাই...'
খাদান প্রসঙ্গে
খাদান ছবিটি এই মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরের ২০ তারিখ মুক্তি পাবে। মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন দেব এবং যিশু। সঙ্গে অন্যান্য চরিত্রে থাকবেন অনির্বাণ চক্রবর্তী, বরখা বিস্ত, ইধিকা পাল, স্নেহা বসু, জন ভট্টাচার্য প্রমুখ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সুজিত সরকার রিনো। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়। দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স এবং সুরিন্দর ফিল্মস ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্ব সামলিয়েছে।