নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে বহু চড়ায় উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন জন আব্রাহাম। বর্তমানে দক্ষ অভিনেতার পাশাপাশি তিনি একজন সফল প্রযোজকও বটে। ২০০৩ সালে মহেশ ভাটের প্রযোজনায় 'জিসম' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই তারকা-অভিনেতা। প্রথমদিকে টিনসেল টাউনে টলমল পায়ে হাঁটলেও ধীরে ধীরে নিজের জমি শক্ত করেছেন জন। ধুম,দোস্তানা, নিউ ইয়র্ক, ফোর্স,মাদ্রাজ ক্যাফে প্রভৃতি ছবির মাধ্যমে এই তারকা-অভিনেতা কুড়িয়ে নিয়েছেন দর্শক থেকে ছবি সমালোচকদের অকুন্ঠ প্রশংসা। এরপর ছবি প্রযোজক হিসেবেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। 'ভিকি ডোনার' থেকে শুরু করে 'মাদ্রাজ ক্যাফে'-র মতো সুপারহিট ও বহুল প্রশংসিত ছবি প্রযোজনার মাধ্যমে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই তারকা।
বরাবরই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চেইন জন। নিজের ব্যক্তিগত জীবন কখনও লাইমলাইটে সামনে আনেন না। পাশাপাশি নিজের প্রযোজনায় বহু নতুন অভিনেতা, অভিনেত্রীকেও সুযোগ দিয়ে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে জনকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর জবাব ছিল,' আমি কাজ ছাড়া কিছু বুঝি না। নিজের কাজটুকু মন দিয়ে করি। কোনওদিন সেরা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে নাম লেখাইনি। বরাবর কঠিন সব হিসেবে কষার বদলে মন থেকে কাজ করে এসেছি। তাই হয়তো বর্তমানে বলিউড থেকে শুরু করে দর্শকদের মনে আমার জন্য একটি আলাদা জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।'
চলতি বছরে যে কয়েকটি ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সেই তালিকায় অন্যতম ছিল জন আব্রাহাম ও ইমরান হাশমি অভিনীত 'মুম্বই সাগা'।সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জন জানিয়েছিলেন তাঁর ও ইমরানের মধ্যে একাধিক মিল রয়েছে। বিশেষ করে স্বভাবে। ' বর্তমানে আমার এবং ইমরানের দর্শক তৈরি হয়েছে। সংখ্যায় অল্প হলেও তাঁরা ভরসা করেন আমাদের কাজের ওপর। তাই বলিউডে নিজের জায়গায় আমি ভীষণ নিরাপদ। ইমরানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমাদের সবথেকে বড় সুবিধে এটাই!'
ইমরান হাশমির সঙ্গে কাজ করার অভিগ্গতা নিয়ে জন জানান বিগত ১৮ বছরে তাঁরা দু'জনে কোনও ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেননি। কিন্তু যে 'ফিল্ম স্কুল' থেকে তিনি এসেছেন, যে ধরনের ছবিতে তিনি বিশ্বাস রাখেন ইমরানও তা রাখেন বলেই তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস। তাই 'মুম্বই সাগা'-তে কাজ করার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও অসুবিধেই হয়নি। ' আমার কেরিয়ারে অনেক বেশি অ্যাকশন ছবি আমি করেছি। অন্যদিকে ইমরানের কেরিয়ারে হিট গানের সংখ্যা অত্যাধিক বেশি!' হাসতে হাসতে জানিয়েছিলেন জন।