বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা চলচ্চিত্র নির্মাতা জুনিয়র মেহমুদ পেটের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, জুনিয়র মেহমুদের শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর। তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি জুনিয়র মেহমুদের সঙ্গে দেখা করতে সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন কৌতুক অভিনেতা জনি লিভার।
জুনিয়র মেহমুদের সঙ্গে জনি লিভারের দেখা করতে যাওয়ার যে ভিডিয়োটি উঠে এসেছে, তাতে তাঁকে বেশ দুর্বল দেখাচ্ছে। অমর উজালার এক প্রতিবেদন অনুসারে, জুনিয়র মেহমুদ তাঁর পেটের থেকে টিউমার অপসারণের জন্য একটা অস্ত্রোপচার করাতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-শাহরুখের পর এবার রণবীর ঝড়! প্রথম দিনে 'Pathaan'কে ছাপিয়ে গেল Animal
আরও পড়ুন-'বউ হারালে বউ পাওয়া যায় রে…', অনুপমের প্রাক্তন পিয়াকে পরমের বিয়ে নিয়ে বলছেন চিরঞ্জিত
আরও পড়ুন-'বিয়েতে আমি সাবেকি সাজে সাজব', Engagement, প্রেম থেকে বিয়ের থিম, অকপট সন্দীপ্তা
সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জনি লিভার তাঁর কথোপকথনের সময় তাঁকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছেন। জুনিয়র মেহমুদকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তাঁকে দেখে বেশ দুর্বল দেখাচ্ছিল। সালাম কাজী যিনি কিনা জুনিয়র মেহমুদকে ভাইয়ের চোখে দেখেন, তিনি অমর উজালাকে জানান, ‘জুনিয়র মেহমুদের পেটে টিউমার রয়েছে। তার রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে তার ওজন ২০ কেজি কমেছে। তবে তিনি এই মুহূর্তে তুলনামূলক সুস্থ রয়েছেন। যাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন তাঁদের সকলের সঙ্গে তিনি ভালোভাবে কথা বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, জুনিয়র মেহমুদের আসল নাম নাঈম সাইয়িদ, যিনি কিনা একজন শিশুশিল্পী হিসাবে কাজ শুরু করেন। তারপর তিনি সরাসরি মারাঠি ছবিতে কাজ করা শুরু করেছিলেন। প্রায় ২৬৫টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন জুনিয়র মেহমুদ। ব্রহ্মচারী (১৯৬৮), মেরা নাম জোকার (১৯৭০), পরওয়ারিশ (১৯৭৭), এবং দো অর দো পাঁচ (১৯৮০) ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি চর্চিত ছিলেন।