‘জয় বাবা লোকনাথ’-এ অভিনয় করার পর থেকে বেশ বদলে গিয়েছিল অভিনেতা ভাস্বরের জীবন। প্রথম প্রথম লোকনাথ বাবার চরিত্রে ভাস্বরের অভিনয় করার কথা শুনে মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। কঠোর সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। তবে অভিনয় শুরুর পরই বদলে গেল সবটা। দর্শকরা তাঁকেই লোকনাথ বাবা বলে ভাবতে শুরু করেন। রাস্তায় বের হলে প্রণাম করতে আসতেন। ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা হলে নাকি তাঁরা অভিনেতাকে বলত, পরীক্ষার হলে যখন লোকনাথ বাবাকে স্মরণ করি তোমার মুখটাই কিন্তু মনে পড়ে ভাস্বরদা!
তাই ৩ জুন লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস উপলক্ষে ছোট্ট প্রয়াস নিয়েছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর NGO অপর্ণা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এলাকার দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন অভিনেতা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখলেন, ‘আমি নিজেকে ধন্য মনে করি বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে,বাবার আশীষ না থাকলে হত না।’ নিজের মায়ের মৃত্যুর পর মায়ের নামেই এই NGO চালু করেন তিনি। এর আগেও অপর্ণা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এলাকার দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মুখে।
সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে লোকনাথ বাবা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্যও শেয়ার করলেন। শুধু লোকনাথের চরিত্রে তিনি অভিনয় করেননি, তাঁকে নিয়ে অনেক পড়াশোনাও করেছেন। আর সে সম্পর্কেই ভাস্বর জানান, ‘তিনি তো শুধু ধর্মগুরু নন। তাঁর ব্যপ্তি যে বিশাল। সারা বিশ্ব নাকি পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন তিনি। যেখানে যেতেন সেখানকার ভাষা শিখে আসতেন। অবাক হলাম আরও, যখন জানতে পারলাম আফগানিস্তান গিয়ে উনি নাকি কোরান শরিফ শিখেছিলেন আবদুল গফফুর নামক এক ব্যক্তির কাছে। পাঠও করেছিলেন। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভাদ করেননি কখনও। কোনও ধর্মকে ছোট করেননি!’
এর আগেই ভাস্বর জানিয়েছিলেন, ইদে রোজা রাখার অনুপ্রেরণা তিনি বাবা লোকনাথের থেকেই পেয়েছিলেন। যদিও তা নিয়ে কম হইচই হয়নি। একজন ব্রাহ্মণ সন্তান হয়ে তাঁর এই কাজে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন বেশ কিছু হিন্দু। সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছিল কড়া সমালোচনা।