নিজের বোকামি আর আত্মতুষ্টির জেরে কেরিয়ারে অনেক কিছু খোয়াতে হয়েছে অভিনেত্রী জুহি চাওয়ালকে। ১৯৮৮ সালে কয়ামত সে কয়ামত ছবির সুবাদে রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলেন জুহি। সম্প্রতি নায়িকা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এবং ব্যক্তিত্বের সংঘাতের জেরে ভালো ভালো ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজীব মসান্দকে দেওয়া এক অকপট সাক্ষাত্কারে জুহি জানান, আমি পুরো মাথা-মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। আমি হয়ত ভেবেছিলাম পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেমে যাবে যদি আমি কাজ না করি। আমি কিছু দারুণ ছবির অফার পেয়েছিলাম, কিন্তু জেদের বসে আমি সেগুলো করতে রাজি হইনি। আমি সেই কাজগুলো করতেই পারতাম। সেগুলো চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমি শুধু নিজের পছন্দের লোকজনের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম, যাদের সঙ্গে আমি স্বচ্ছন্দ। বেড়াজাল ভেঙে বেরোতে আমি রাজি ছিলাম না।
কোন কোন ছবির অফার ফিরিয়ে ছিলেন জুহি? নায়িকা উল্লেখ করেন নব্বইয়ের দুই ব্লকবাস্টার ছবির নাম- ‘রাজা হিন্দুস্থানী’ এবং ‘দিল তো পাগল হ্যায়’। জুহি জানান, ‘আমি অনেককে তারকা বানিয়েছি’।
জুহি অফার ফেরানোর পর দিল তো পাগল হ্যায়-ছবির ওই চরিত্র গিয়েছিল করিশ্মা কাপুরের ঝুলিতে। ছবিতে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জেরে জাতীয় পুরস্কারও জিতে ছিলেন করিশ্মা। এমনকি রাজা হিন্দুস্থানী ছবিতেও আমিরের নায়িকা হওয়ার সুযোগ জুহি ফেরানোয় সেই রোলটি যায় করিশ্মার কাছে। বাকিটা ইতিহাস।
জুহির ফেরানো দুটি ব্লকবাস্টার ছবির নায়িকাই কাকতালীয়ভাবে করিশ্মা কাপুর। তাহলে করিশ্মার কেরিয়ার তৈরিতে কতটা হাত রয়েছে জুহি চাওয়ালার? এই প্রশ্ন শুনে হেসে অভিনেত্রী জানান, ‘অবশ্যই আমি একমাত্র দায়ী ওঁর এই খ্যাতির জন্য’।
১৯৮৪ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা জেতার দু’বছর পর রূপোলি সফর শুরু করেন জুহি। তাঁর ডেব্যিউ ছবি ‘সলতনাত’। এই ছবিতে ধর্মেন্দ্র, শ্রীদেবী, সানি দেওলদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে নিয়েছিলেন জুহি। তবে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল এই ছবি। কিন্তু কয়ামত সে কয়ামত তক সব হিসেবনিকেশ পাল্টে দেয়। জুহির কেরিয়ারের কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি হল- হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে, ডর, ইয়েস বস, ইশক। শীঘ্রই রূপোলি পর্দায় দেখা মিলবে অভিনেত্রীর, শর্মাজি নমকিন ছবিতে আবারও দেখা যাবে জুহিকে।