৫০ বছর বয়সে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন অভিনেতা সচিন শ্রফ। হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ সচিন। দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র নতুন তারক মেহতা। একটা সময় টেলিভিশন দুনিয়ার আদর্শ দম্পতি ছিলেন সচিন-জুহি। একসঙ্গে বহু রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে দেখা মিলেছে দুজনের। হিন্দি টেলভিশনের আদর্শ ‘বহুরানি’ কুমকুম ওরফে জুহি পারমারের সঙ্গে ২০০৯ সালে বিয়ে করেছিলেন সচিন। ২০১৩ সালে জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র কন্যা সামাইরার। তবে এরপর আচমকাই তাঁদের দাম্পত্যে চিড় ধরে। অবশেষে ২০১৮ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় সচিন-জুহির। এবার নতুন সম্পর্কে জড়ালেন অভিনেতা।
২৫শে ফেব্রুয়ারি চাঁদনির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জুহির প্রাক্তন। এবার ভালোবেসে নয়, সম্বন্ধ করে বিয়ে করেছেন সচিন। একদম ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে সেরেছেন সচিন। তিক্ত অতীতকে ভুলে নতুন জীবনের পথে পা বাড়ালেন অভিনেতা। জানা গিয়েছে সচিনের স্ত্রী চাঁদনি পেশায় একজন অন্দরসজ্জা শিল্পী। বিয়ের দিন সচিনের পরেন দেখা মিলল কমলা রঙা শেরওয়ানিতে, সঙ্গে সোনালি জরির কাজ। তবে চমকে দিল সচিনের দুলহানিয়ার বেশ। নীল রঙা সাবেকি লেহেঙ্গা আর হলুদ দুপাট্টায় ঝলমল করলেন চাঁদনি। ভারী গয়না আর হালকা মেকআপে পাওয়া গেল নতুন বউকে।
সচিন-চাঁদনিকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিল ‘তারক মেহতা’ পরিবার। দিলীপ জোশি, মুনমুন দত্ত, জেনিফার মিস্ত্রি বাঁশিওয়াল, অম্বিকা রঞ্জনকর, সুনয়না ফোজদারের মতো তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন বিয়ের আসরে।
আরও পড়ুন-‘বুঝি না মেয়েটার প্রতিভা আদৌ কী!’, শেহনাজকে নিয়ে বিস্ফোরক টুইট সোনা মহাপাত্রের
সবুজ রঙা বাঁধনি লেহেঙ্গায় সচিনের বিয়ের আসরে পৌঁছেছিলেন ‘ববিতাজি’ মুনমুন দত্ত। এই বঙ্গ সুন্দরীর গর্জাস লুকও মুগ্ধ করল। ‘লড়কে ওয়ালে’ মুনমুন সহকর্মীর বিয়ের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা যায়, সচিনের বোনের বন্ধু চাঁদনি। সচিনের পরিবার তাঁকে পছন্দ করেছে পাত্রী হিসাবে। বিয়ের কথা পাকা হওয়ার পরেও চাঁদনির পরিচয় গোপনই রেখেছিলেন সচিন, তবে এবার প্রকাশ্য়ে এল তাঁর সুন্দরী দুলহানিয়া। সচিনের কথায়, জুহির সঙ্গে বিয়ে ভাঙলেও বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর। তাই নতুন করে জীবনকে আরও একটা সুযোগ দিলেন।
বিয়ে ভাঙার পর মেয়ের কাস্টডি গিয়েছে জুহির কাছে। তবে মাঝেমধ্যেই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটান সচিন। কেন আলাদা হয়েছিলেন দুজনে? এই ব্যাপারে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সচিন বলেছিলেন, ‘জুহি আমাকে কোনওদিনই ভালোবাসেনি। আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর মন পাইনি। যে বিয়েতে ভালোবাসা নেই, তা টিকিয়ে রেখে কী লাভ? তাই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত’।