সদ্য মুক্তি পেয়েছে আমির পুত্র জুনেদের 'লাভিয়াপ্পা'। ছবির প্রচারেই নানান সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে জুনেদকে। তেমনই এক সাক্ষাৎকারের কথা বলতে গিয়ে ভগ্নিপতি (বোন ইরার স্বামী) নূপুরকে নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির পুত্র। সঠিক প্রেমিক কিংবা স্বামী বেছে নেওয়ার জন্য ইরাকে বিশেষ শর্ত দিয়েছিলেন দাদা জুনেদ।
কী ছিল সেই শর্ত?
ইরাকে জুনেদ বলেছিলেন, তিনি চাইলে নিজের পছন্দ মতো প্রেমিক বেছে নিতে পারেন। যার সঙ্গে খুশি ডেট করতে পারেন, তবে যাঁকে তিনি বাছবেন, তাঁকে তাঁদের বাড়িতে এসে জুনেদের সঙ্গে মদ্যপানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে।
হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন, এটাই ছিল ইরাকে দেওয়া জুনেদের শর্ত। জুনেদ ইরাকে বলেন, তাঁর প্রেমিক যখন মদ্যপানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, তখন প্রতি ১৫মিনিট অন্তর তাঁকে একটা শর্ট নিতে হবে। তবে যদি কেউ ১৫ মিনিট অন্তর শট না নেয়, বা বমি করে ফেলে, তাহলে সে হেরে যাবে।'
কিন্তু ইরার প্রেমিক, বর্তমানে স্বামী নূপুর শিখরের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? নূপুর কি পেরেছিল জুনেদকে হারাতে?
উত্তরে জুনেদ বলেন, 'আমরা শুরু করেছিলাম তবে এক পর্যায়ে গিয়ে নূপুর বলেন, ‘জুনেদ, আমার হয়ে গেছে। তবে আমি প্রথমেই বলেছিলাম ওর মধ্যে ম্যাচিউরিটি আছে। নূপুর না বলার পর আমি বললাম, ঠিক আছে তুমি এই শটটা নাও, আমি আর শট নেব না, তাহলেই তুমি জিতে যাবে। সুতরাং ও শেষ শটটি নিয়েছিলেন এবং জিতেছিল। আর ইরা এটার একটি ভিডিও করেছিল। ভিডিয়োটা খুব মিষ্টি ছিল।’
তবে এখানেই শেষ নয়, এর পরের ঘটনাও ফাঁস করেন জুনেদ। বলেন ‘বাকি রাতটা নূপুর বাথরুমের মেঝেতে কাটায়, পাশে ছিল ইরা। সেটাও খুব মিষ্টি ছিল! তারপরে আমি ওকে (নূপুরকে) কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিলাম, এবং তারপরে নূপুর সারা রাত আমাকেই জড়িয়ে ধরে আদর করল কারণ ও আমার বিছানায় ছিল' একথা বলেই হেসে ফেলেন আমির পুত্র।
নিঃসন্দেহে মনে রাখার মতো প্রথম সাক্ষাৎ! কিন্তু এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য কী ছিল? জুনায়েদ বলেন, 'আমার বোনের সঙ্গে বরাবরই এটা আমার চুক্তি ছিল। কারণ, ধারণা ছিল যে মাতাল অবস্থাতেই আসল মানুষকে চেনা যায়। হয়ত এই চ্যালেঞ্জটা অনেক ছেলেই তাঁদের বান্ধবীর ভাইয়ের সঙ্গে নিতে রাজি হবে না। তবে আমরা খুশি যে নূপুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করেন নূপুর ও ইরা।