Aamir-Junaid: ‘বাবা ছোট জিনিসকেও বড় করে…’! বলিউডে পা রেখেই আমিরকে নিয়ে মন্তব্য জুনায়েদের

জুনায়েদ খান আরও বলেছিলেন যে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা হিসাবে নিজের জায়গা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং তার পরিবার থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়েছেন।

আমির খানের বড় ছেলে জুনায়েদ খান সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া 'মহারাজ' দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছেন। জুনায়েদকে প্রায়শই মুম্বাইয়ে পাপারাজ্জি দেখতে পান এবং তাঁর ভিডিয়ো ভাইরালও হয়। হামেশাই দেখা যায়, তিনি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। কানেক্ট সিনেকে দেওয়া এক নতুন সাক্ষাৎকারে জুনায়েদ, আমিরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যে, তিনি ভ্রমণের জন্য গাড়ি ব্যবহার করতে চান না এবং গণপরিবহন পছন্দ করেন। 

জুনায়েদ যা বললেন

সাক্ষাৎকারে জুনায়েদ বলেন, 'আমার মনে হয় বাবা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অনেক বড় কথা বলেন। আমি ভ্রমণের সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে ভ্রমণ করি। আমি প্রায়শই মুম্বইয়ে রিকশা নিই কারণ, এতে যাতায়াত করা সহজ, পার্কিং নিয়ে চিন্তা করি না।

একই সাক্ষাৎকারে জুনায়েদ বলেন, 'আমি নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করার চেষ্টা করছি। আমার পরিবার খুব সাপোর্টিভ। তাদের পক্ষ থেকে সত্যিই কোনও চাপ নেই। তাই হ্যাঁ, আমি নিজের কাজ মন দি্য়ে করছি এবং ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তৈরি করছি। আশা করছি এই ছবির পর দর্শকদের সঙ্গেও সম্পর্কটা বাড়বে। 

মহারাজ সিনেমাটি ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৬২ সালে একটি মানহানির মামলার উপর ভিত্তি করে তৈরি। সাংবাদিক তথা সমাজ সংস্কারক করসনদাস মুলজির চরিত্রে অভিনয় করছেন জুনেইদ। বল্লভাচার্য গোষ্ঠীর প্রধান, ধর্মগুরু যদুনাথ ব্রিজরতন মহারাজের চরিত্রে রয়েছেন জয়দীপ আলাওয়াত। 

১৮৬২ সালে বম্বে হাইকোর্টে মহারাজ লিবেল মামলাটি ওঠে। ধর্মাচারের নামে যদুনাথ মহারাজের বিরুদ্ধে মহিলা শিষ্যদের যৌন উৎপীড়নের অভিযোগ তোলেন মুলজী। তাঁর নির্ভীক সাংবাদিকতা, তদন্তমূলক রিপোর্ট, শুধুমাত্র অপরাধচক্রেরই পর্দাফাঁস করেনি, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু অজস্র মানহানির মামলার মুখে পড়তে হয় মুলজীকে। হেনস্থা হতে হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

অদ্বৈত চন্দনের পরিচালনায় অভিনেত্রী, শ্রীদেবী-কন্যা খুশি কাপুরের সঙ্গে জুনায়েদ তাঁর পরবর্তী প্রজেক্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রোমান্টিক কমেডি হিসাবে চিহ্নিত এই ছবিটি হিট তামিল ছবি লাভ টুডে-র রিমেক।