অভিনয় দিয়ে পেশাগত জীবনের শুরু। সেই সূত্রেই জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তার সূত্রে রাজনীতিতে আগমন। এবার আর এক নতুন অধ্যায় শুরু করে ফেললেন জুন মালিয়া। তাঁকে এবার দেখা যাবে ক্রিকেট প্রশাসনে দায়িত্ব সামলাতে। সোমবার সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভায় মেদিনীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে প্রতিনিধিত্ব করলেন তিনি।
ছোটপর্দার শুধু পরিচিত মুখই নন, রীতিমতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী জুন। বহু বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এক সময়ে বাংলা সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে রাখা হত তাঁর নাম। কয়েক বছর আগে থেকে রাজনীতির ময়দানেও বেশ আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। এবার ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁর আগমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মত অনেকের।
সিএবি-তে যোগ দিলেন জুন। এবারের সিএবি-র কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল আগেই। যদিও বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার। সোমবার নতুন কমিটি সেই দায়িত্ব নিল। নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। আগামী বছর ভারতের মাটিতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। বেশ কিছু ম্যাচের দায়িত্ব পেতে পারে ইডেন গার্ডেন্স। এসব বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনাও হল এদিনের বৈঠকে। সেখানেই নতুন ভূমিকায় দেখা গেল জুনকে।
সংবাদমাধ্যমকে জুন জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি সিএবি-র সভায় মনোনীত হয়েছেন। ক্রিকেট প্রশাসনের বিষয়টি তাঁর কাছে মোটেই নতুন কিছু নয়। কর্মকর্তাদের অনেককেই তিনি আঘে থেকেই চিনতেন, বাকিদের সঙ্গে এই বৈঠকে আলাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যেহেতু তিনি কলকাতার মেয়ে, তাই ক্রিকেট নিয়ে তাঁর আগ্রহ ছোট থেকেই এবং এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অনেক আগে থেকেই ওয়াকিবহাল বলেও মন্তব্য করেছেন।
প্রশাসক হিসাবে নিজেকে কোন ভূমিকায় দেখতে চান? কী ধরনের কাজ করতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে জুন জানিয়েছেন, জঙ্গলমহল থেকে প্রতিভাবান মহিলা ক্রিকেটারদের তুলে আনার সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, জঙ্গলমহলের অনেকেই খেলাধুলোয় খুব আগ্রহী। কিন্তু তাঁরা যথেষ্ট সুযোগ পান না। সেই সুযোগটিই জুন তাঁদের দিতে চান বলেও জানিয়েছেন।
জুনের লক্ষ্য যদি পূরণ হয়, তাহলে আগামী দিনে বাংলা থেকে মহিলা ক্রিকেটারদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে। এমনই বক্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের।