দুর্গাপুজোর সময় পুজো কার্নিভালের পাশাপাশি ওই একই দিনে হয়েছিল দ্রোহ কার্নিভাল। পথে নেমেছিলেন বহু মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেই দ্রোহ কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারকারাও। আর এবার ঠিক একই ভাবে দ্রোহের চলচ্চিত্র উৎসবের ইঙ্গিত দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বুধবার কলকাতা শুরু হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আর ওই দিনই তিলোত্তমার সুবিচারের আশায় কলকাতার বুকে দ্রোহের চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এবং বহু সংগঠনের মিলিত প্রয়াসে গঠিত 'অভয়া মঞ্চ'।
আরও পড়ুন: মনীষা বা সোনাক্ষি নয়, হীরামন্ডির শ্যুটে অদিতিকে না খাইয়ে রেখেছিলেন বনশালি! কেন? জানলে অবাক হবেন
বুধবার শিয়ালদহ আদালতের সামনে আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা মঞ্চ এক প্রতিবাদী অবস্থান-কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। ওই মঞ্চ থেকেই তাঁরা দ্রোহ চলচ্চিত্র উৎসব করার আওয়াজ তোলে।
অভয়ার ঘটনার প্রায় চার মাস হতে চলল, কিন্তু এখনও তদন্তের আশানুরূপ কোনও অগ্রগতি দেখতে পাননি বলে অভিযোগ জানান যৌথ মঞ্চ ও অভয়া মঞ্চের সদস্যরা। এই আবহেই দুর্গাপুজোর বিসর্জনের কার্নিভালের দিনে যেমন ভাবে তাঁরা দ্রোহের কার্নিভাল আয়োজন করেছিলেন, তেমনই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনার দিন দ্রোহ চলচ্চিত্র উৎসব কথা জানানো হয় জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের পক্ষ থেকে। তবে সেই চলচ্চিত্র উৎসবের দিনক্ষণ নিয়ে তাঁরা কিছু জানাননি। তাঁরা জানান, রানুছায়া মঞ্চের মুক্তাঙ্গনে ওই উৎসব করার ভাবনাচিন্তা চলছে।
আরও পড়ুন: একসময় কাজ করেছেন একই রেডিয়ো চ্য়ানেলে! হঠাৎ বিরাট গণ্ডগোল মীর-সোমকের, কী কেস
প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট জানায়, কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা এখনও ঠিক ভাবে চালু হয়নি। এই রেফার সমস্যা যাতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য স্বাস্থ্যভবনে নির্দিষ্ট হেল্পলাইন এবং কন্ট্রোল রুম রাখতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে শুধুমাত্র রেফার সংক্রান্ত একটি স্টেটাস ডিসপ্লে রাখা ও সেই তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে রিয়েল-টাইমে আপডেট করা এবং এর জন্যে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগেরও দাবি তোলেন তাঁরা।
পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁরা কথা বলেন। তাঁদের মতে, মহিলা পুলিশ থেকে শুরু করে ডাক্তার, নার্স, গ্রুপ-ডি কর্মীদের বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ জরুরি। তবে কেবল নিজেদের দাবি জানানো নয়, অভয়ার সুবিচারের দাবিও তোলেন তাঁরা। তাঁরা পরীক্ষার কারণে এখন চুপ আছেন মানেই আন্দোলন থামিয়ে দিয়েছেন, এমনটা নয়। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, যে তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে তাঁরা সরবেন না যতদিন না সুবিচার হয়।