দীর্ঘদিনের বিতর্ক, আইনি টানাপোড়েনের পর অবশেষে অযোধ্যায় হতে চলেছে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। আর সেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে সেজে উঠেছে রামনগরী অযোধ্যা। তবে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিযায় তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে নতুন করে।
একদিকে তিনি জনপ্রতিনিধি অন্যদিকে টলিগঞ্জের প্রথম সারির নায়িকা। বিতর্ক কোনওসময়ই পিছু ছাড়ে না নুসরত জাহানের। তবে মনের কথা মন খুলে বলা থেকে কোনওদিনই পিছিয়ে আসেন না বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। সংখ্যা লঘু পরিবারের মেয়ে নুসরত, অথচ হিন্দু পরিবারের বউমা তিনি। তাঁর বিয়ের পরেও কম বিতর্ক হয়নি, শাঁখা-সিঁদুর পরা নিয়ে ধর্মের ধ্বজাধারীদের রোষের মুখে পরতে হয়েছে নুসরতকে। কিন্তু সেইসব বিতর্ক গায়ে মাখেন না তিনি। নুসরত বহুবার জানিয়েছেন, ‘ধর্ম যার যার তবে উত্সব সবার’। তাই তো দশমীর সিঁদুর খেলা, থেকে ইদ কিংবা রথযাত্রা-সব উত্সবেই শামিল হন তিনি। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর কয়েক ঘন্টা আগে নুসরত বললেন, ‘আমি মন্দির,মসজিদ দুটোই বাছলাম’।
এদিন ডিজাইনার ফারহা আলির একটি টুইট, রি-টুইট করেন নুসরত। সেখানেই যোগ করেন এই হ্যাশট্যাগ #IchoosebothTempleandMosque, নিজের টুইটে হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজানের দিদি ফারহা লিখেছেন, ‘একটা মন্দির কিংবা একটা মসজিদকে সমর্থন করলে কেন আমাকে একটা দিক বেছে নিতে হবে। আমার চোখে দুটোই অসম্ভব সুন্দর এক ধর্মীয় সৌধ।কেন সব কিছুর মধ্যে এত রাজনীতির রঙ থাকবে? আমরা কী ভিতরের শুভশক্তিটা হারিয়ে ফেলছি না? কেন একটাকে বেছে নিতেই হবে? কেন ভালোবাসা আর সম্মান দুইয়ের প্রতি সমানভাবে থাকবে না? আমার রয়েছে’।
এই টুইট,রি-টুইট করে সর্ব ধর্ম সমন্বয় ও ধর্ম নিরপেক্ষতার বার্তাই তুলে ধরলেন নুসরত জাহান।