বলিউডে আসার আগে কবীর খান দীর্ঘ সময় ক্যামেরা পারসন এবং তথ্য চিত্রপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানান তিনি যখন মুম্বইতে এসেছিলেন তখন তিনি একজনকেই চিনতেন আর তিনি হলেন স্বয়ং শাহরুখ খান। যদিও তাঁদের পরিচিতি সেই কলেজ থেকে। শাহরুখ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কবীরের সিনিয়র ছিলেন। যদিও তিনি তখন শাহরুখকে স্রেফ গৌরী খানের প্রেমিক হিসেবে জানতেন। কবীর এবং গৌরী ওয়েস্ট ওয়াইড স্টোরিতে নাচ করতেন।
দ্য ফরগটেন আর্মি নামক তথ্যচিত্রের হাত ধরে পরিচালক হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন কবীর খান। এই ছবিতে উঠে এসেছিল ভারতীয় জাতীয় আর্মির কথা যা সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে যশ রাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় তিনি প্রথম ফিচার ফিল্ম বানান, কাবুল এক্সপ্রেস। এই ছবিতে জন আব্রাহাম এবং আরশাদ ওয়ার্সিকে দেখা গিয়েছিল। তিনি জানান তিনি যখন মুম্বইতে এসেছিলেন তখন তিনি কাউকে, কিছুকে চিনতেন না। স্রেফ একজনকে চিনতেন তিনি। তিনি কে জানেন? স্বয়ং শাহরুখ খান! তিনি ভাবতেন শাহরুখ হয়তো তাঁর সঙ্গে কোনও প্রজেক্টে কাজ করবেন না, কারণ ততদিনে শাহরুখ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছেন। অন্যতম জনপ্রিয় বলি তারকা হয়ে উঠেছেন তিনি। হিউম্যান অব বম্বেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কবীর জানান তিনি শাহরুখ এবং কবীরকে দিল্লি থেকেই চিনতেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, 'শাহরুখ আমার সিনিয়র ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আমি তাঁকে সেই কারণে চিনতাম না। আমার সঙ্গে শাহরুখের পরিচয় হয়েছিল গৌরীর প্রেমিক হিসেবে। ওয়েস্ট ওয়াইড স্টোরিতে আমি আর গৌরী একসঙ্গে নাচ করতাম। গৌরী ব্যাপক নাচ করত। আমিও মন্দ ছিলাম না। আমরা একটি মিউজিক্যাল নাটকের জন্য ছয় মাস রিহার্সাল করেছিলাম। তখন শাহরুখ আসত ওর সঙ্গে দেখা করতে। সেভাবেই ওর সঙ্গে আমার আলাপ হয়।'
তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'শাহরুখ তখন জামিয়ায় পড়ছে। আমি তখনও ভর্তি হইনি। পরে যখন আমি ভর্তি হই, আর অর্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে শুরু করি তখন শাহরুখ ওর নোটস আমায় দিত। আমি ভুল না করলে ও ইকোনোমিক্স নিয়ে পড়েছে এবং ভীষণ ভালো ছাত্র ছিল। আমি যখন বম্বে এসেছিলাম আমি কাউকে চিনতাম না এক শাহরুখকে ছাড়া।'
কবীরের পরিচালিত শেষ ছবি হল ৮৩। এটি ২০২১ সালে মুক্তি পায়। এখানে ৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের গল্প উঠে এসেছিল। ছবিতে রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, পঙ্কজ ত্রিপাঠী, প্রমুখকে দেখা গিয়েছিল।