সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই ট্রোলের মুখে পড়তে হয় কবীর সুমনকে। বিশেষ করে তাঁর শাসক দল ঘনিষ্ঠতা, বামেদের হামেশাই আক্রমণের কারণে, সর্বক্ষণই চলে বর্ষীয়ান গায়কের পোস্ট নিয়ে কাঁটাছেড়া। সোমবার রাতেও ঠিক এমনটাই হল।
একটি চার লাইনের পঙক্তি শেয়ার করেন তিনি ফেসবুকে। যাতে লেখা, ‘যেখানে যাই/ যারই কাছে/ মাগী আমার/ তাকিয়ে আছে’। এখানে কিছুই লেখেননি অতিরিক্ত। ফলে কারও মনে প্রশ্ন ওঠে, তিনি কোনোভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করলেন না তো?
আরও পড়ুন: প্রথমবার বন্দে ভারতে চড়লেন এষা দেওল! ‘অনেকদিন পর এরকম…’, খুব বাজে লাগল নাকি?
দেখা যায়, অনেকেই সেই পোস্টে ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট দিয়েছেন। তো কেউ আবার তাঁর সেই পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে নানা ধরনের রাজনৈতিক প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তবে বলে রাখা যাক, ঠিক কোন কারণে সুমন এটি শেয়ার করেছেন তা অজানা থাকলেও, এই চারটি লাইন হল একটি মহাজনী পদ। গীতিকার বা পদকর্তাকে বাউলরা মহাজন হিসেবে উল্লেখ করতেন। আরও একটু বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় ‘মহৎ যে জন’ অর্থাৎ মহাজন। মহৎ কারণ পদকর্তারা তাঁদের রচনা ধার দিতেন। যা নিয়ে গান বাঁধতেন বাউলরা।
আরজি কর কাণ্ডের পরেও সরকারের সপক্ষেই সাওয়াল করতে দেখা গিয়েছে কবীর সুমনকে। তবে হ্যাঁ, বিরোধিতা করেছিলেন মমতার বলা ‘উৎসবে ফিরুন’ নিদানের। লিখেছিলেন, ‘উৎসবে ফিরুন বলা খুবই কাঁচা কাজ, হৃদয়হীনতার পরিচয়। আন্দোলনকারীরা স্বাভাবিকভাবে রেগে গিয়েছেন। এমনিতে আমি মাননীয়া মমতার ভোটার ও প্রগ্রেসিভ বিপ্লবী মধ্যনাগরিক বাঙালিদের কাছে এক নিবেদিতপ্রাণ ‘চটিচাটা’। এ হেন আমিও মনে করছি ‘উৎসবে ফিরুন’ কথাটা বলা অন্যায় হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে সৃজিতের উপহার, প্রকাশ্যে টেক্কা-র ১ম গান ‘তোমায় ছেড়ে যেতে পারলাম কই’
তবে ডাক্তার আন্দোলন ও ধর্না নিয়েও সমালোচনার সুর দেখা গিয়েছে ফেসবুকে সুমনের তরফ থেকে। বরং, নিন্দে করেছিলেন সেই মানুষগুলোর যারা আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ করছেন, এদিকে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ‘চটিপিসি, শকুনপিসি, চটিবুড়ি, কালীঘাটের ময়না’র মতো ভাষা ব্যবহার করেছেন। এমনকী, ৩১ বছরের তরুণী ডাক্তারকে নিয়ে চলা বর্তমান আন্দোলনে বাম-যোগ আছে, এমন ইঙ্গিতও এসেছে তাঁর সোশ্যাল পোস্টে।