বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে জ্বলছে ওপার বাংলা। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন এদেশের মানুষজন এবং বহু তারকা ব্যক্তিত্ব। অবশেষে প্রতিবেশী দেশের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কবীর সুমন। বর্তমান পরিস্থিতি, সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে সবসময়ই কথা বলতে দেখা যায় শিল্পীকে। বাংলাদেশের সঙ্গে সুমনের যোগ গভীর। সেদেশের 'জামাই' তিনি। সেদেশে নিয়মিত অনুষ্ঠান করতেও যান। তাই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কবীর সুমন ঠিক কী বলেন? তা নিয়ে অনেকেই কৌতুহলী ছিলেন।
ঠিক কী বললেন কবীর সুমন?
ফেসবুকের পাতায় কবীর সুমন লেখেন, 'তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া ক'রে মর। আমি প্রেম করছি, প্রেম ক'রে যাব।' তাঁর এই পোস্টে অনেকেই নানান মন্তব্য করেছেন। তাঁর বহু অনুরাগী শিল্পীকে সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও যখন 'কোটা' আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশ জ্বলছিল, তখনও শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন কবীর সুমন। সেসময়ও দীর্ঘ পোস্টে সুমন লিখেছিলেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয় আসয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন।’
সেসময়ের বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কবিতাও লিখেছিলেন তিনি। সেই কবিতার শেষ লাইনগুলোতে ছিল, 'বাংলা ভাষা যে তোমাকে আমাকে/ সকলকে দেয় এক ক’রে/ বাংলাদেশের সবাই বাঁচুক/ নি:শ্বাস নিক প্রাণ ভ’রে।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে কবীর সুমনের বন্ধন বড়ই নিবিড়। একসময় ওপার বাংলার মেয়ে সোফিয়া নাজমা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন কবীর সুমন। ১৯৬৯ সালে মার্কিন মুলুকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল তাঁদের। ১০ বছর পর দেশে ফিরে কলকাতায় সংসার পাতেন দুজনে। শোনা যায়, নাজমাকে বিয়ে করতে প্রথমবার ধর্মান্তরিত হন কবীর সুমন। পরে জার্মানি পাড়ি দেন দম্পতি। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
পরে বাংলাদেশের গায়িকা বাংলাদেশের গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন সুমন। সাবিনাকে যখন বিয়ে করেছিলেন, তখনও সুমনের সঙ্গে তাঁর ২য় স্ত্রী মারিয়ার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। মারিয়াকে অবশ্য হিন্দু রীতিতে সুমন চট্টোপাধ্যায় হিসাবেই বিয়ে করেছিলেন বলে শোনা যায়। তাঁদের তখনও বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। তাই আবারও একবার ইসলাম গ্রহণ করে সাবিনাকে বিয়ে করেছিলেন সুমন। যদিও সেই বিয়েও টেকেনি।