বাবা-মা হওয়া সহজ কাজ নয়। বিশাল বড় দায়িত্ব। বাবা-মায়েরা যেমন ছেলেমেয়ের সবচেয়ে বড় শিক্ষক,তেমনি সন্তানের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারেন তাদের বাবা-মা, মনে করেন অভিনেত্রী কাজল।
করিনা কাপুর খানের রেডিও শো 'হোয়াট ওমেন ওয়ান্ট' অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী কাজল। কাজল এবং অজয় দেবগণের দুই সন্তান-নায়সা(১৬ বছর) এবং যুগ(৯ বছর)। কাজল জানিয়েছেন, ‘কিছুদিন আগে যুগের থেকে আমি একটা জিনিস শিখলাম যা সত্যি আমি মনে রাখব। আমি নায়সাকে বকাবকি করছিলাম। মাতা কি চৌকিতে আমাদের সঙ্গে বসার জন্য। নায়সা চেয়ারে বসেছিল, আমি মাটিতে না-বসবার জন্য চিত্কার করছিলাম। বলছিলাম তুই চেয়ারে কেন বসে রয়েছিস? এটা দৃষ্টিকটু। খারাপ দেখতে লাগে। নয়সা বলছিল, আমার ভালোলাগছে না যদিও তারপর নায়সা এসে কিছুক্ষণ আমাদের সঙ্গে বসে। মেয়ে চলে যাওয়ার পর, যুগ আমার কোলে উঠে বসল এবং গলা জড়িয়ে বলল, মা তুমি রাগ করছো কেন? সত্যি কথায় তো বলছিল দিদি’।
যুগের কথা মনে ধরে যায় কাজলের। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার মনে হয়, হে ভগবান আমার নিজের সন্তান আমাকে উল্টো হাতের চড় মেরে দিল। কি সুন্দর উপদেশ’!
কাজল জানালেন আরও একটা জিনিস যেটা ছেলেমেয়ের থেকে তিনি শিখছেন তা হল তাঁদের মিউজিকের অভ্যাস এবং সে ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই। পাশাপাশি 'সেলফি কেমন করে তুলতে, কীভাবে তুললে সেটা ভালো দেখায়, ইন্সটাগ্রামে কোনটা ভালো লাগবে মানে কুল লাগবে আর কি! পাশাপাশি ইন্সটাগ্রামে যে সব কিছু পোস্ট করা যায় না সেটাও ওরাই আমাকে শেখাচ্ছে'।
'আমার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সবচেয়ে বড় সমালোচক আমার মেয়ে', জানালেন কাজল। তিনি আরও যোগ করেন, ‘নায়সা আমার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দেখবে আর বলবে, এটা একদম অর্থহীন? তুমি সোনম কাপুরের ইন্সটাগ্রাম দেখেছ? আমি বলি, তুই কি বলতে চাইছিস? ও বলে দেখেছো সোনমের অ্যাকাউন্ট কত সুন্দরভাবে সাজানো-গোছানো। নায়সা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারে অনেক উপদেশ দেয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ভাষা নিয়েও। সত্যি এইসব ব্যাপারে আমি খুব বাজে’।
আপতত নিজের আসন্ন ছবি তানাজি:দ্য আনসাং ওয়ারিয়রের প্রচারে ব্যস্ত কাজল। ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এই পিরিয়ড ড্রামা। মরাঠা ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে লিড রোলে দেখা মিলবে অজয় দেবগণ ও সইফ আলি খানের।