দুই বোনই এসেছেন বলিউডের খুব বড় পরিবার থেকে। মা-বাবা দুজনেই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। বাবা পরিচালক, প্রযোজক, লেখক হিসেবে কাজ করেছেন। আর মা তো নামি নায়িকা। বড় বোনও একসময় রাজ করেছেন বলিউডে। শাহরুখ থেকে সলমন, জুটিতে কাজ করেছেন একের পর এক ছবিতে। ছোট জন অবস্য সেভাবে নিজের জায়দা করে উঠতে পারেনি, এমনকী রিয়েলিটি শো-তে গিয়েও সাফল্য আসেনি ঝুলিতে।
এখনও বুঝতে পারলেন না, তবে এবার রইল সবচেয়ে বড় হিন্ট। এরা বাঙালি। মুম্বইতে এদের বাড়ির দুর্গাপুজো খুব বিখ্যাত। এবার নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন। এই দুই খুদে আর কেউ নয়, কাজল আর তনিশা মুখোপাধ্যায়। শিশু দিবস উপলক্ষে কাজল নিজেই ছবিখানা দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।
ছোটবেলার এই ছবি শেয়ার করে কাজল লিখলেন, ‘আমার ভিতরে থাকা শিশুটিকে হ্যাপি চিলড্রেনস ডে। পাগল থাকো, বাজে থাকো, তুমি তোমার মতো থাকো। তুমি যেমন সেটাতেই তুমি নিখুঁত।’ আর দিদির এই পোস্টে বোন তনিশা কমেন্ট করেছেন, ‘My monkey ❤️’।
১৯৭৩ সালে সোমু মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন তনুজা। ১৯৭৪ সালের ৫ অগস্ট জন্ম হয় কাজলের। ১৯৭৮ সালে জন্ম তনিশার। কাজল বলিউডে ডেবিউ করেন ১৯৯২ সালে বেখুদি দিয়ে। তবে প্রথম হিট হল ১৯৯৩-এর বাজিগর। এরপর শাহরুখের সঙ্গে পরপর সিনেমায় কাজ করতে থাকেন। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, বাজিগর, ডুপলিকেট ছবিতে। মাঝে বড় পরদা থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৫ সালে প্রায় বছর পাঁচেক পর কামব্যাক করেন দিলওয়ালে দিয়ে শাহরুখের সঙ্গেই।
এদিকে তনিশা সেভাবে জায়গা করতে পারেননি বলিউডে। বলিউডে নীল এন্ড নিকি’, ‘সরকার’, ‘সরকার রাজ’ ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘কোড নেম আব্দুল’-এ। একটাও হিটের মুখ দেখেনি। গিয়েছিলেন বিগ বসে। সেখানেও ফাইনালে পৌঁছে ট্রফি ছাড়াই ঘরে ফেরেন। বিয়েও করেননি, বলা ভালো এখনও খুঁজে পাননি স্বপ্নের পুরুষকেই।
সম্প্রতি ETimes-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তনিশাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমার আদর্শ পুরুষ আমার খুব ভালো বন্ধু হতে হবে। এমন একজন মানুষ হতে হবে যে আমার দুর্বলতাকে ততটাই সম্মান করবে আমার শক্তির সঙ্গে। আমাকে আরও শক্ত হতে সাহায্য করবে, আর অবশ্যই সম্মান করবে।’