ফের চাঞ্চল্য বলিউডে! অভিশপ্ত জুনেই ফের উদ্ধার সিনে-তারকার দেহ। বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ উদ্ধার করল অভিনেত্রী নূর মালবিকা দাসের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছেন অসমের এই বাঙালি অভিনেত্রী। ৩৭ বছর বয়সী মালবিকা সম্প্রতি নজর কেড়েছিলেন ডিজনি প্লাস হটস্টারের ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ট্রায়াল’-এ। এই সিরিজে যিশু সেনগুপ্ত, কাজলের মতো এ-লিস্টার তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন মালবিকা।
এদিন মুম্বই পুলিশ জানায়, অন্ধেরির ওশিওয়াড়া এলাকার নিজের ফ্ল্যাট থেকে মালবিকার পচাগলা দেহ মিলেছে। বাড়ির সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল অভিনেত্রীর দেহ। প্রতিবেশিরা বন্ধ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তালা ভেঙে অভিনেত্রীর অর্ধেক গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ, দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, তবে রিপোর্ট হাতে আসেনি।
৩৭ বছর বয়সী মালবিকা অভিনয়ের জগতে আসার আগে কাতার এয়ারওয়েজের একজন বিমানসেবিকা ছিলেন। গত ৬ জুন লোখান্ডওয়ালার ফ্ল্যাট থেকে মালবিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর? জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে তাঁর মোবাইল ফোন, ডায়েরি এবং বেশকিছু ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ফ্ল্যাটে নিজের পরিবারের সঙ্গেই মালবিকা, জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অলোকনাথ পাঠক। তবে সপ্তাহ খানেক আগেই পরিবার অসমের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হল,
অভিনেত্রীর দেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে গুরুগ্রামের সিদ্ধার্থ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ তাঁর দেহ নিয়ে আসেনি অবশেষে মুম্বই পুলিশ ৯ জুন রবিবার তাঁর দেহ দাহ করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায়।
আশ্চর্যজনকভাবে ৫ দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের শেষ পোস্টটি করেছেন মালবিকা। ওদিকে তারপরই পুলিশের হাতে এসেছে তাঁর পচাগলা দেহ! বিকিনি মডেল হিসাবে ইনস্টায় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন মালবিকা। তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লক্ষাধিক।
বেশকিছু হিন্দি ওয়েব সিরিজ ও ছবিতে কাজ করেছেন অসমের এই কন্যে। প্রয়াত অভিনেত্রীর ঝুলিতে রয়েছে 'সিসকিয়ান', 'ওয়াকম্যান', 'তিখি চাটনি', 'জাগন্য উপয়া', 'চার্মসুখ', 'দেখি উন্দেখি', 'ব্যাকরোড হাস্টল'-এর মতো ছবি। টেলি সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাশোসিয়েশনের তরফে ইতিমধ্য়েই মালবিকার মৃত্যুর পূর্ণ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তিনি কি ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন নাকি এই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।