নিত্যদিনই চর্চায় উঠে আসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত শো 'দিদি নম্বর ওয়ান'। আর সম্প্রতি এই শোয়ে হাজির হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কল্যাণী মণ্ডল। প্রতিযোগী হিসাবে ছিলেন কাঞ্চনা মৈত্রও। সেখানেই কথোপকথনের মধ্যে বর্ষীয়ান কল্যাণী মণ্ডলকে একী বলে বসলেন কাঞ্চনা!
ঠিক কী ঘটেছে?
রচনা এই বয়সেও সুন্দরী কল্যাণী মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি ভীষণ রেস্টিকটেড (কড়া) ডায়েটে থাকো?’ উত্তরে কল্য়াণী মণ্ডল বলেন, ‘নানা না, আমি ভাতও খাই’। রচনা ফের বলেন, ‘আমি সবসময় দেখেছি, তুমি বাড়ির খাবার খাও।’ একথায় কল্যাণী মণ্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ, বাড়ির খাবারই খাই। কোল্ড ড্রিংস, আইসক্রিম, চকোলেট, এসব কিছুই খাই না।’ অবাক রচনা তখন বলেন, ‘কিচ্ছু না! কখনও ইচ্ছে করে না? যে একটু কোল্ড ড্রিংস খাব বা নুডুলস খাব…’।
কল্যাণী তখন বলেন, ‘নিশ্চয় খাই, এক্কেবারেই খাই না, তা নয়। যেমন বিরিয়ানিটা তেমন পছন্দ করি না (নাক সিটকে)। আমার না মাছ, মাংস, ডিম কিচ্ছু ভালো লাগে না। শুধু ভেজ খাই।’ এসব শুনে পাশ থেকে কাঞ্চনা মৈত্র বলেন, ‘তুমি একটা জাতীয় অপরাধী, তুমি জানো সেটা? বিরিয়ানি যাঁর ভালো লাগে না, সে জাতীয় অপরাধী।’ একথায় মুচকি হাসেন কল্যাণী মণ্ডল দুহাত বাড়িয়ে দিয়ে ইঙ্গিত করেন, তাহলে তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো হোক। এসব দেখে হেসে ফেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন-শাড়ি পরেই ক্রিজে নেমে দাপিয়ে বেড়ালেন, তবে আউট হয়েও মানতে নারাজ, ব্যাট কাড়লেন দেব
এই ভিডিয়োর নিচে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘জাতীয় অপরাধী কথাটা বেশ লাগলো।’ কেউ লিখেছেন, ‘বাঙালি জাতির থেকে বয়কট করা হোক ওনাকে’। বহু নেটিজেনের কাঞ্চনার কথায় হেসেছেন। কারোর মন্তব্য, ‘আমি তো বাবা বিরিয়ানি ছাড়া ভাবতেও পারি না।’
প্রসঙ্গত কল্য়াণী মণ্ডল অবশ্য দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। অনেকেই হয়ত জানেন না মহানায়কের বিশেষ স্নেহধন্যা ছিলেন কল্যাণী দেবী। উত্তম কুমারকে ‘জ্যেঠা’ বলে ডাকার স্বাধীনতা ইন্ডাস্ট্রিতে বোধহয় একমাত্র তিনিই পেয়েছিলেন। উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘আলো আমার আলো’ ছবিতে সুচিত্রা সেনের বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কল্যাণী দেবী। । উত্তম ও সুচিত্রার কাছে আর্শীবাদ নিয়েই শুরু করেছিলেন কাজ।