২০২০ সালে অগস্টে নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল চালু করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এর আগে অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টটি তাঁর দল পরিচালনা করছিল। সেক্ষেত্রে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি হ্যান্ডেল করার কারণে সেই অ্যাকাউন্ট নিয়ে তেমন কোনও চর্চাও হয়নি।
যখন কঙ্গনা আনুষ্ঠানিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতি ঘোষণা করেছিলেন, তখন তিনি কোন শব্দ না করে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছিলেন তাঁর করা টুইটের মাধ্যমে। তবে টুইটারে এক বছরও টিকতে পারেননি বলি কুইন। তাঁর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
অনেক আগে, দ্য কপিল শর্মা শোতে, তিনি বলেছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা আছেন তাঁরা ‘ভেল্লি’। শব্দটির বাংলা তর্জমা, অলস ব্যক্তিত্ব বা অকর্মণ্য ব্যক্তিত্বকে বোঝায় মূলত। তিনি বলেছিলেন, ‘এই সমস্ত ‘ভেল্লি’ লোক টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নিজেদের ওপর কত কেস খেয়ে বসে আছে’।
তিনি এই কথা বলেছিলেন যখন তিনি শোতে শহিদ কাপুরের সঙ্গে রেঙ্গুন ছবির প্রচারে এসেছিলেন। এবার থালাইভি-র প্রচারের জন্য শো-তে যখন এসে হাজির হন অভিনেত্রী। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কঙ্গনা বলেন, মহামারী চলাকালীনও তিনি ‘ভেল্লি’ ছিলেন।
অভিনেত্রীর কথায়, যখন করোনা ভাইরাস ছিল না তখন তিনি নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। যখনই করোনা মহামারী ভারতে আছড়ে পড়ল, তখনই ভেল্লি হয়ে পড়লেন তিনি। ‘লকডাউন শুরু হতেই আমি টুইটারে আসলাম। আবার যেই লকডাউন উঠল, টুইটার আমাকে ব্যান করে দিল’।
কঙ্গনা, আরও বলেন, ‘আমার ওপর এত কেস হয়েছে (হয়েছিল)। কম করে ২০০ FIR প্রতিদিন আমার ওপর হত। এরপরই ওরা আমাকে নিজেরাই ব্যান করে দিয়েছে। আমি মনে মনে ভাবলাম, চলো আপদ বিদায় হল’।