রাজনীতির স্বার্থে অভিনয় কেরিয়ার বিসর্জন দিতে রাজি ছিলেন কমল হাসান, তবে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেতে হল এমএনএম প্রধানকে। তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে কোয়েম্বাটুর (দক্ষিণ) আসন থেকে লড়ে হারের মুখ দেখতে হল দক্ষিণী ছবির এই সুপাস্টারকে।
শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন কমল, ২২ রাউন্ড গণনা পর্যন্ত এগিয়েও ছিলেন তিনি, তবে এরপরই বাজিমাত করলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীনিবাস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষমেষ মাত্র ১,৫৪০ ভোটে পরাজিত হন কমল হাসান। মক্কাল নিধি মাইয়াম প্রথমবার ভোটে লড়েই ৩৩.২৬ শতাংশ ভোট পান। অন্যদিকে ৩৪.৩৮ শতাংশ ভোটের সঙ্গে ডিএমকে-র জোটসঙ্গী হয়ে ভোটে লড়া বিজেপি প্রার্থী জয়ী ঘোষিত হন এই কেন্দ্র থেকে।
যদিও এই হারের পরেও কোয়েম্বাটুরের মানুষের প্রতি নিজের আস্থা ও বিশ্বাসের কথা জানিয়ে তাঁদের ধন্যবাদ দেন কমল হাসান। যাঁরা তাঁর প্রতি ভরসা রেখে তাঁকে ভোট দিয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জাহির করেন, তিনি বলেন আগামিদিনেও দেশের মাটিরক্ষা করতে, মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যাবেন।
বিধানসভা ভোটে জয়লাভের জন্য ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনকে অভিনন্দন বার্তাও দেন কমল। স্ট্যানিলের সুযোগ্য নেতৃত্বে তামিলনাড়ু উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে, এই বিশ্বাসের কথা জানান কমল হাসান। ১৩৩টি আসন জিতে তামিলনাড়ুতে সরকার গড়ছে ডিএমকে।

ভোট-যুদ্ধে হারলেও বাবাকে নিয়ে গর্বিত কমল হাসান কন্যা। তিনি ইনস্টাগ্রামে বাবাকে ফাইটার এবং টার্নিমেটর আখ্যা দিয়ে লেখেন- ‘আপ্পা, তোমাকে নিয়ে সবসময়ই গর্বিত’।
ডার্কহর্স' হিসেবে নির্বাচনী ময়দানে নামা এমএনএম সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। ২৩২টি বিধানসভা আসনের ১৫৪টি-তে প্রার্থী দিয়েছিল দল, সুপ্রিমো কমল হাসানে পাশাপাশি হেরেছেন দলের সব প্রার্থীই।