অভিনেতা কমল হাসান এই মুহূর্তে তাঁর ছবি ‘ঠগ লাইফ’ -এর প্রচারে ব্যস্ত। ছবিটি খুব শীঘ্রই রিলিশ করবে। সেই ছবিতে তাঁর সঙ্গে তৃষা কৃষ্ণনও অভিনয় করেছেন। ছবির প্রচারের সময় তাঁর দুটি বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হল কমল। তিনি ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে হয়েও কেন দুটি বিয়ে করেছেন সেবিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কমল।
প্রসঙ্গত অনেকেই হয়ত জানেন না যে কমল হাসানের আসল নাম পার্থসারথি শ্রীনিবাসন। তিনি পেশাগত জগতে কমল হাসান নামেই পরিচিত। তামিল আয়েঙ্গার ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অভিনেতার বাবার নাম ছিল ডি. শ্রীনিবাসন, যিনি একজন আইনজীবী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে নিয়ে কমল হাসানকে তাঁর ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি বিয়েতে বিশ্বাস করি না। হলে ভালো, না হলেও কোনো ব্যাপার নয়।’ এরপর কমল এমপি জন ব্রিটাসের সঙ্গে পুরনো একটা ঘটনার স্মৃতি চারণ করে বলেন, ‘১০-১৫ বছর আগের কথা। এমপি জন, যিনি আমার ভালো বন্ধু, তিনি আমাকে জিগ্গেস করেন, আপনি ভালো ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে এসেছেন, তারপরও দুটি বিয়ে করেছেন? আমি বলেছিলাম ভালো পরিবারের সঙ্গে বিয়ের কি সম্পর্ক? উনি তখন বলেন আপনি তো ভগবান রামকে পূজা করেন, তাহলে তাঁর মতোই হতে চাইবেন। আমি বললাম, প্রথমত আমি কোনও ভগবানকে পূজা করি না, আর রামের পথেও চলি না। আমি ওঁর বাবাকে অনুসরণ করি, যাঁর তিনটি স্ত্রী ছিলেন।’
আরও পড়ুন-'খান' পদবী নামের পাশ থেকে ফেলে দিতে চান ইরফান পুত্র, কিন্ত কেন? নিজেই জানালেন বাবিল
আরও পড়ুন-সোহেলের সঙ্গে ডিভোর্স, সলমন খানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কতটা বদলেছে জীবন, কী বললেন সীমা সচদেব?
উল্লেখ্য, কমল দক্ষিণী নৃত্যশিল্পী ১৯৭৮ সালে বাণী গণপতিকে বিয়ে করেন। ১০ বছর পর ১৯৮৮ সালে তাঁদের আইনত ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর কমল হাসান বিবাহিত থাকাকালীনই সম্পর্কে জড়ান সারিকার সঙ্গে, ১৯৮৬ সালে তাঁর প্রথম সন্তান শ্রুতি হাসানের জন্ম হয়। কমল ও সারিকা বিয়ে করেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯১ সালে ডন্ম হয় দ্বিতীয় সন্তান অক্ষরার। তবে ২০০২ সালে কমল ও সারিকা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০০৪ সালে তাঁদের আইনত ডিভোর্স হয়ে যায়।
এরপর ২০০৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অভিনেত্রী গৌতমীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কমল হাসান। তিনি বহুবারই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি নিজেকে বিয়ের উপযুক্ত মনে করেন না।