মিমি চক্রবর্তী দিন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে স্বাধীনতা দিবসে প্রশ্ন তুলতেই তাঁকে রীতিমত তুলোধোনা করলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়া জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তীও।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত বাংলাদেশে ধুয়ে মুছে সাফ ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি, রাজশাহীতে ভেঙে ফেলা হল পরিচালকের বাড়ি
কী পোস্ট করলেন মিমি চক্রবর্তী?
মিমি চক্রবর্তী ১৪ অগস্ট রাত দখলের রাতে যাদবপুর এবং অ্যাকাডেমির জমায়েতে গিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। গলা মিলিয়েছিলেন বিচার চেয়ে। তারপর সেই জমায়েতের একাধিক মুহূর্তের ছবি ভিডিয়ো এদিন পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'জাস্টিস ডিলেড ইজ জাস্টিস ডিনাইয়েড। আজ আমার এই শহরের প্রতিটা জায়গা থেকে স্লোগান উঠেছে, চিৎকার উঠেছে যে আমরা মানুষ হিসেবে ব্যর্থ। প্রতিটা গলি বিচারের জন্য চিৎকার করেছে। আমি আবারও বলছি এমন বিচার হওয়া উচিত যাতে পরে কেউ এমনটা করার আগে দুবার ভাবে।' একই সঙ্গে চিকিৎসকের মৃত্যুর একটা প্রতীকী ছবিও শেয়ার করে জিজ্ঞেস করেন, 'আমরা সত্যিই কি স্বাধীন?' এরপরই তাঁকে কটাক্ষ করেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
কী লিখলেন কমলেশ্বর?
ফেসবুকের পাতায় কমলেশ্বর লেখেন, 'স্বাধীনতা শব্দটাই রাজনৈতিক। কেউ লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করে। কেউ ক্ষমতাবলে স্বাধীনতা হরণ করে। কেউ নিজের স্বাধীনতা বিকিয়ে সুখ-সমৃদ্ধি কেনে। সবকটাই রাজনৌতিক প্রক্রিয়া। প্রশ্ন হলো, আপনি কাদের স্বাধীনতার পক্ষে ?'
কী লিখলেন পরম পিয়া?
এদিন প্রতিবাদ মিছিলের একাধিক ছবি ভিডিয়ো পোস্ট করে পিয়া চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'আমাদের দাবী: যথাযথ তদন্তের মধ্য দিয়ে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধর্ষণ ও খুনে জড়িত প্রতিটি নাম সামনে আনতে হবে, সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। এবং এই সূত্রে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের যে বিভিন্ন যোগ সাজশগুলো সামনে আসছে, সেগুলোর মুখোশ খুলে দিতে হবে, এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।মৈত্রীর পক্ষ থেকে দাবি কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, অবিলম্বে নিয়ম মেনে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে| কমিটির প্রত্যেক সদস্যদের নাম ও ফোন নম্বর পাব্লিক করতে হবে | সেই মর্মে আর জি কর হাসপাতালের মধ্যে পোষ্টার সাঁটাতে হবে।'