অবশেষে এল সেই শুভক্ষণ। সাতপাকে বাঁধা পড়লেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। স্ত্রীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিলেন কাঞ্চন মল্লিক। মালা বদল, শুভদৃষ্টি সবই হল। ঠিক যেমনটা কথা ছিল তেমনটাই।
লাল বেনারসি পরে নববধূর বেশে দেখা গেল শ্রীময়ী চট্টরাজকে। আর কাঞ্চন পরেছিলেন সাদা পাঞ্জাবি-লাল ধুতি। তারই কিছু মুহূর্ত হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষ। দেখুন বিয়ের পর কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রথম ছবি। মালাবদলের সময় শ্রীময়ীর পিঁড়ি একটু বেশিই উঁচুতে তুলে ধরে মজা করতে দেখা গেল উপস্থিত অন্যান্যদের। তারপর অবশেষে কাঞ্চনের গলায় প্রথম মালা শ্রীময়ীই পরালেন। পরে পাল্টা মালা পরান কাঞ্চন। পান পাতা সরিয়ে শুভদৃষ্টি হল দুজনের।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যাঙ্কোয়েটে তাঁদের বিয়ের আসর বসেছিল। এদিন সকাল থেকে শুধু মাত্র দুই পরিবারের উপস্থিতিতে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি পালিত হয়।
প্রথমে ঠিক ছিল একজন ডিজাইনারের কাছ থেকে বিয়ের ড্রেস নেবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে তাড়াহুড়োয় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। শ্রীময়ী নিজেই নিজের বিয়ের ড্রেস ডিজাইন করেছেন। এমনকি কাঞ্চনের বিয়ের ড্রেসও তাঁরই ঠিক করে দেওয়া। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের মেনুতে ছিল পুরোপুরি বাঙালি খাবার। ছিল কড়াইশুটির কচুরি, আলুরদম, ফিসফ্রাই, মটন কষা, পোলাও।
গত ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ডিভোর্স পান কাঞ্চন মল্লিক। তারপর আর দেরি করেননি। বরং ভালোবাসার দিনে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীময়ীর সঙ্গে আইনি বিয়ে সেরে নেন কাঞ্চন। এরপর ২ মার্চ রীতি মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। আগামী ৬ মার্চ হতে চলেছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশন।