গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির জনসভায় তৃণমূলনেত্রীর হাত ধরে জোড়াফুলে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। একই দিনে ঘাস-ফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ সহ আরও অনেক পরিচিত মুখ।
ভোটের আবহে তৃণমূলে যোগ দিয়েই, কাঞ্চন মল্লিক প্রার্থী হয়েছেন হুগলির উত্তরপাড়া এলাকায়। কাঞ্চনের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে দিন কয়েক আগেই কটাক্ষ করেন হেভিওয়েট ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। রাজ চক্রবর্তীর প্ররোচনাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কাঞ্চন। এমন মন্তব্য করেছিলেন রুদ্রনীল। তিনি আরও বলেছিলেন, কাঞ্চন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইদের উদ্দেশ্যে কটূকথা বলতেন। রাজ ‘গল্পটল্প’ করার পর তৃণমূলের প্রার্থী হন।
কাঞ্চন অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর এবং রুদ্রনীলের সম্পর্ক বহু বছর পুরনো। তবে রুদ্রনীলের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে ভোলেননি কাঞ্চন। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কীভাবে দলে ঢুকতে হয় সময়ে জানি না, কীভাবে দফতর পেতে হয় জানি না, কীভাবে গাড়িতে আলো লাগাতে হয় জানি না। কীভাবে দল বদলাতে হয় জানি না। কীভাবে ফ্ল্যাট সাজাতে হয় জানি না। কীভাবে কবিতা করতে হয় আমি জানি না। আমি তো সাধারণ অভিনেতা, ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, কমেডিয়ান। আমি কাজ করেছি,বাড়িতে এসেছি। সত্যিই আমি সাতে পাঁচের ব্যাপারটা জানি না’।
কাঞ্চনের কথায়, তাঁর তুলনায় রাজের সঙ্গে রুদ্রনীলের সম্পর্ক বেশি গাঢ়। এমনকি রাজের বেশিরভাগ ছবিতে কাজও করেছেন রুদ্রনীল। হুগলির উত্তরপাড়া এলাকার তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, আগে রুদ্রনীল গাড়িতে যাখন নীল আলো লাগিয়ে ঘুরতো তখনও তাঁর এত অহমিকা ছিলনা, এখন যতটা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, তিনি ভবানীপুরের ভোটার, তাই রুদ্রনীলের ইচ্ছে হোক বা না হোক, তাঁকে কাঞ্চনের বাড়িতে ভোট চাইতে যেতেই হবে। টলিউডের বন্ধুর জন্য সাদরে দরজা খুলে রাখছেন তিনি। তবে দল বদলের রাজনীতি যে টলিউডের বন্ধুদের ইকুয়েশনগুলো পালটে দিচ্ছে সেই ছবিটা ক্রমেই প্রকাশ্যে চলে আসছে।