কাঞ্চন-শ্রীময়ী, এই নাম দুটি এখন নিত্যদিনের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণটা আর নতুন করে না বললেও চলবে। একে কাঞ্চনের তিন নম্বর বিয়ে, তার উপর নতুন বউ তাঁর থেকে ২৬ বছরের ছোট। তাই এই জুটিকে নিয়ে চর্চা যেন আর বন্ধ হয় না। তবে যতই আলোচনা হোক, লোকে তাঁদের নিয়ে ‘অকথা-কুকথা’ বলুক, সেসবে কান দিতে নারাজ কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
এদিকে সম্প্রতি 'সম্প্রতি 'Chup Korr Goss Achhe' নামে এক চ্যাট শোয়ে হাজির' নামে এক চ্যাট শোয়ে হাজির হয়ে নিজেদের নিয়েই বহু কথা খোলসা করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে যে যতই সমালোচনা করুন না কেন, কাঞ্চন-শ্রীময়ী সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কিন্তু দিব্যি সুখেই আছেন। এই শোয়ে এসেই কাঞ্চন সাফ বক্তব্য, যাঁরা তাঁর তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনা করছেন, তাঁদের অনেকেই আন-অফিশিয়ালি একাধিক সম্পর্কে রয়েছে, এমন লোকজন রয়েছেন।
কাঞ্চনের কথায়, ‘আমি বলছি, রাক্ষস মতে, প্রজাপতি মতে ইত্যাদি মতে, নানান মতে হয়। আসলে বিয়ে তো একটা সোশ্যাল ট্যাবু, সেজন্য ইনি আমার তৃতীয় স্ত্রী (শ্রীময়ীকে জড়িয়ে)। আমি ওনাকে ভালোবাসি, ওঁকে সম্মান করি। পৃথিবীতে অনেক মানুষ এমন খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে যাঁরা এই সোশ্যাল ট্যাবু ছাড়া ডবল হ্যাট্রিক, ট্রিপিল হ্যাট্রিক ক্রস করে ফেলেছেন। যদি কিছু কিছু সংজ্ঞা, কিছু কিছু বিষয় করিলে ইহাকে বিবাহ বলা যেতেও পারে বলে (একটা চোখ মেরে) বলা যায়। তাহলে এক এক জন ২০টা করে বিয়ে করেছেন, আমি ধরতে পারি তাঁদের। আন অফিশিয়ালি।’
কাঞ্চনের কথা প্রসঙ্গে পাশে বসে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমি তো ২৭ বছর বয়সে এসে বিয়ে করেছি। আমার মনে হয়, বিয়েটা একটা সুন্দর যাত্রাপথ। যাঁরা করেননি, তাঁদেরও করে ফেলা উচিত। কারণ, বিয়ের আগে মনে হয়, কোথাও একটা অনধিকার চর্চা চলছে। আর বিয়ের পর মনে হয় পুরোটাই অধিকার।’
কাঞ্চন সবশেষে বলেন, ‘আমরা যখন বন্ধু-বান্ধবী ছিলাম, তখন মনে হয় ফ্যান কম ছিল, এথন মনে হয় আমাদের ফ্যান বেড়ে গিয়েছে।' শ্রীময়ী তখন বলেন, 'তাহলে তো বলা ভালো লোকে আমাদের বিয়েটা সাপোর্টই করেছেন। তাই ফ্যান বেড়েছে। আমার বক্তব্য, যাঁরা বিয়ে করেননি, তাঁরা করে ফেলুন। আর যাঁরা খারাপ দাম্পত্য জীবনে রয়েছেন বলে মনে করেন, তাঁরা সেটা থেকে বের হয়ে আবার বিয়ে করুন। আপনি ৩-৪-৬-৮ যটাই বিয়ে করুন না কেন আইন মেনে করুন।’