করোনার ভুয়ো টিকা প্রসঙ্গে সরব রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি সরাসরি সরকারকেই দায়ি করেছেন এজন্য। তবে, তৃণমূলের বিধায়ক, সপ্তাহখানেক ধরে ‘খবরে থাকা’ কাঞ্চন মল্লিকের গলায় শোনা গেল অন্য সুর! শনিবার ভোর রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন মিমি চক্রবর্তী। তিনি দিন চারেক আগে এরকমই একটা করোনা শিবির থেকে টিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সারাদিন কেটে গেলেও কোনও মেসেজ না আসায় তাঁর সন্দেহ হয়। মিমি-র পদক্ষেপেই ফাঁস হয় সেই ভুয়ো করোনা টিকা কেন্দ্রের কথা। কিন্তু নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নিজে সাংসদ হয়েও কীভাবে ভুয়ো টিকার আওতায় এলেন, এই নিয়ে লাগাতার কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। খানিক সেরকম সুর শোনা গেল কাঞ্চনের কথাতেও। ভুয়ো টিকা নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হলে সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা অভিনেতা জানালেন, ‘যে ভাবে জাল টিকা দেওয়া হয়েছে, সেটা অন্যায়। একেবারেই সমীচীন নয়। টিকা নিতে গেলে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তার জন্য আধার কার্ড লাগে। তার পর টিকা হয়। ফোনে মেসেজ আসে। সচেতন মানুষ হিসেবে সেই বিধিগুলো মানতে হবে।’
এমনিতেই দলের অন্দরে বেশ বিপাকে পড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। স্ত্রী পিঙ্কি তার ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের ‘প্রেম-সম্পর্ক’-এর কথা সামনে আনার পর থেকে তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি কেনও তৃণমূল নেতাই। বরং, কাঞ্চনই মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে মুখ দেখাতে তাঁর লজ্জা করছে’! এবস্থায় দলেরই এক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীর ব্যাপারে এমন মন্তব্য করায় না বিপাকে পড়তে হয় তাঁকে, ভয় পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।