কদিন আগেই হানিমুনের ছবি শেয়ার করেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টোরাজ। মার্চ মাসে সামাজিক বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি, আর সেই আনন্দ অনুষ্ঠানের মাসখানেক পর বউকে নিয়ে সোজা মলদ্বীপ চলে যান তৃণমূল বিধায়ক।
অনেকদিন আগেই ফিরে এসেছেন শ্রীময়ী-কাঞ্চন হানিমুন সেরে। এবার অভিনেতাকে ভাগ করে নিতে দেখা গেল মধুচন্দ্রিমার অভিজ্ঞতা। এমনিতেই তারকাদের পছন্দের ছুটি কাটানোর ঠিকানায় নাম আসে মলদ্বীপের। চলুন জেনে নেই, সেখানে কেমন কাটল এই দম্পতির সময়।
কাঞ্চন টিভি৯-কে জানান, ভোটের কারণে বিয়ের পর থেকে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তাই সুযোগ পেতেই ৩ দিনের জন্য চলে গিয়েছিলেন মধুচন্দ্রিমায়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে ট্রোল হয়। বানানো হয় মিম। যা কাঞ্চনের নিজেরও চোখে পড়েছে। তবে সেসবে পাত্তা দিতে তিনি একেবারেই নারাজ।
‘আমি যদি এখন গড়ের মাঠেও একা বসে থাকি, লোকে বলবে গরু তুই ঘাস খা! সুতরাং এগুলো আর আমাকে স্পর্শ করে না। তবে খুবই নোংরা লাগে। কুরুচিকর মনে হয়। আনন্দ করেছি আমি আর শ্রীময়ী (মলদ্বীপে)। খুব মজা লেগেছে।’, বলতে শোনা গেল কাঞ্চনকে।
যদিও প্রথম থেকেই ইনস্টাগ্রামে কমেন্ট সেকশন বন্ধ রেখেছিলেন শ্রীময়ী হানিমুনের পোস্টে। কটাক্ষ যে আসতে চলেছে, তা জানতেন দুজনেই। বিকিনি থেকে গাউন, শর্ট ড্রেস-- সব রকম পোশাকেই নিজেকে সাজিয়েছিলেন অভিনেত্রী মলদ্বীপে।
২০২১ সালে প্রথম সামনে এসেছিল কাঞ্চন আর শ্রীময়ীর সম্পর্কের খবর। যদিও তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কারণ সেই সময় কাঞ্চন ছিলেন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে। সেই সময় বরের নামে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন খোদ পিঙ্কি। শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। তারপর থেকে পাকাপাকিভাবে ছাদ আলাদা হয়। তখনই শ্রীময়ীর সঙ্গে কাঞ্চনের পরকীয়ার অভিযোগ উঠিয়েছিলেন তিনি।
এরপর বছর দুয়েক নানা ঝামেলার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ডিভোর্স হয়। ছেলের দায়িত্ব পিঙ্কিরই কাছে। তবে খোরপোশ হিসেবে ৫৬ লাখ টাকা দিতে হয়েছে কাঞ্চনকে। অতীত ভুলে এখন নতুন সংসার সাজিয়েছেন। সদ্য উলটো রথে জুটিতে ইস্কনেও পুজো দিতে দেখা গেল কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে।